আরও পড়ুন: বার্ষিক উচ্চ মাধ্যমিক এই বছরেই শেষ, প্রশ্নপত্রের ফাঁস রুখতে একাধিক নিয়মে বদল
স্বপ্নারাণী পাল জানান, “যখন তিনি নবম শ্রেণীতে পড়তেন সেইসময় পদ্মাপুরাণ সম্পূর্ণ পড়ে ফেলেছিলেন। সেখান থেকেই ছন্দ সম্পর্কে ধারণা জন্ম নেয় তাঁর। এরপর বিয়ের পর স্বামীকে প্রশংসা করে একটি কবিতা লিখেছিলেন প্রথম। ধীরে ধীরে সেখান থেকেই শুরু হলো কবিতা লেখার নেশা। এখন শরীর সায় না দেওয়ার জন্য আগের মত আগের মতন লিখতে পারেন না তিনি। তবে তাঁর মৃত্যুর আগে তিনি দেখে যেতে চান তাঁর লেখাগুলো কেউ প্রকাশের ব্যবস্থা করে পড়ার সুযোগ করে দিয়েছেন সকলের জন্য।”
advertisement
আরও পড়ুন: ২ ডিগ্রি কমল তাপমাত্রা, উত্তরের জেলায় জাঁকিয়ে শীত… সঙ্গে প্রবল কুয়াশার দাপট
তিনি আরোও জানান, “সাংসারিক সমস্ত কাজ সামলে পরিশ্রমের মাঝে পুরনো একটি খাতা ও কলমে তিনি চালিয়ে যান সাহিত্য চর্চা। মনের মধ্যে হঠাৎ যেসব কবিতার লাইন আসে। সেগুলোকেই কাগজের পাতায় রূপ দিয়ে থাকেন তিনি।\” তুফানগঞ্জ শহরের বিশিষ্ট কবি ও এক পত্রিকার সম্পাদক অমরেন্দ্র বসাক জানান, \”এই বয়সে একজন মহিলা পরিবারের দায়িত্ব পূরণ করে যেভাবে কলম চালিয়ে যাচ্ছেন সত্যি তা বিরল। এক সময় ‘রাই কিশোরী’ নামে ৩০ টি কবিতার বই নিজের খরচে প্রকাশ করেছেন। বর্তমানে তিনি অসুস্থ থাইরয়েডের কারণে। এছাড়া অসুস্থ স্বামী নিয়ে কায়ক্লেশে চলছে তাঁর সংসার। এত কষ্টের মধ্যেও তার কলম থেমে নেই।”
এই বয়সে এসেও বৃদ্ধা মহিলা যেভাবে সাহিত্য চর্চা চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া তিনি যেভাবে পরিবারিক পরিস্থিতি সামলে সাহিত্য চর্চা ধরে রেখেছেন প্রতিনিয়ত। বিষয়টি সত্যিই প্রশংসার যোগ্য বলেই জানাচ্ছেন বহু মানুষ। তাইতো বহু আগ্রহী মানুষ তাঁর পাশে এসে দাঁড়ানোর জন্য এগিয়ে আসতে চাইছেন বর্তমানে।
Sarthak Pandit