উল্লেখ্য, নকশালবাড়ির বেঙ্গাইজোত এলাকায় কার্ল মার্কস, ফ্রেডরিখ এঙ্গেলস, ভ্লাদিমির লেনিন, জোসেফ স্তালিন, মাও সেতুংয়ের আবক্ষ মূর্তি রয়েছে। বুধবার সকালে সেখানেই লেনিন মূর্তির মুখের কিছু অংশ ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। তবে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে লেনিনের মূর্তি ভাঙচুর হলেও অন্যান্য কোনও মূর্তিতেই ভাঙচুর করা হয়নি। আর এরপরই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
আরও পড়ুন: নিতে 'ভুলে' গিয়েছেন অনুব্রত, সেই 'জিনিস' নিয়ে দিল্লি গেলেন BJP বিধায়ক! কী জানেন?
advertisement
নকশালবাড়ি থানায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করে সিপিআইএম ও সিপিআইএমএল সমর্থকরা। ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। লেনিনের মূর্তি ভাঙার ঘটনায় বিক্ষোভ সিপিআইএমের। নকশালবাড়ি আন্দোলনের ঘটনাস্থলের সামনে দোষীদের শাস্তির দাবিতে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। সিটু জেলা সভাপতি গৌতম ঘোষ জানান, নকশালবাড়ির আবেগ এই শহীদ বেদী। উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে ও ষড়যন্ত্র করে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। লেনিনের মূর্তি ভেঙে লেনিনের মতাদর্শ মুছে দেওয়া যাবে না। অপরাধীদের কঠোরতম শাস্তির দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন: প্রতিদিন আধঘণ্টা করে কথা বলবেন অনুব্রত! কার সঙ্গে? ৩ আর্জি ঘিরে শোরগোল
গোটা ঘটনায় অবশ্য বিজেপির বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলেছেন সিপিআইএম (এল) নেতা অভিজিৎ মজুমদার। তার অভিযোগ, ''দক্ষিণপন্থী শাসকরা লেনিনের মূর্তিকেই নিশানা করছে। ত্রিপুরায় যখন বিজেপি সরকার আসে তখন ওরা লেনিনের মূর্তি ভেঙেছিল। নকশালবাড়ি, খড়িবাড়ি এই অঞ্চলে আরএসএসের একটা প্রভাব রয়েছে। এটা বিক্ষিপ্ত ঘটনা নয়। এর পিছনে নিশ্চয়ই কোনও উদ্দেশ্য আছে। নকশালবাড়ি আন্দোলনের স্মারক স্তম্ভ রয়েছে ওখানে। তারা হয়তো চাইছে না মূর্তিগুলি ওখানে থাকুক।'' পাশাপাশি পুলিশের প্রশাসনের কাছে দোষীদের শাস্তির দাবি জানান তিনি।