কিন্তু এই পরিবর্তনের ভিড়ে এখনও একা ও অনাড়ম্বর ভাবে দাঁড়িয়ে আছে একটি কাঠের দোতলা বাড়ি। নাম- লাটাগুড়ি হোমিওপ্যাথি। গরুমারা জঙ্গলের একেবারে পাশে থাকা এই ক্লিনিকই যেন লাটাগুড়ির অতীতের গন্ধ আজও বয়ে নিয়ে চলেছে। প্রায় এক শতাব্দীর কাছাকাছি ইতিহাস এই চিকিৎসালয়ের। বর্তমানের এই দাতব্য পরিষেবা হিসেবে ক্লিনিকটির সূচনা করেন বর্তমান চিকিৎসকের বাবা।
advertisement
আরও পড়ুন : মোয়া প্রেমীদের জন্য খুশির খবর, আর টান পড়বে না নলেন গুড়ের! জয়নগরের ঐতিহ্য বাঁচাতে শুরু নতুন উদ্যোগ
তখন মাত্র এক পয়সা–দুই পয়সায় চিকিৎসা মিলত এখানে। দরিদ্র মানুষের কাছে এই বাড়িটি ছিল ভরসার একমাত্র ঠিকানা। আজ সময় বদলেছে, চিকিৎসা ফি-ও কিছুটা বেড়েছে, তবুও রোগীর প্রতি মানবিকতা, যত্ন আর পরিষেবার মনোভাব সবই আগের মতোই অটুট। প্রতিদিনই দু’একজন রোগী এখনও এখানে আসেন। প্রেসক্রিপশনের পাশাপাশি তাঁদের সঙ্গে আড্ডায় উঠে আসে এই ক্লিনিকের পুরনো গল্প। লাটাগুড়ির পথচলার সঙ্গে মিশে আছে এই বাড়ির প্রতিটি কাঠের তক্তা, প্রতিটি দাগ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
লাটাগুড়ি বাজারে ঢোকার আগেই চোখে পড়ে ঐতিহ্যবাহী কাঠের বাড়িটি। আশপাশে গড়ে উঠেছে আধুনিক দোকানপাট, নতুন হোটেল, ব্যস্ততার ভিড়। তবুও এই পুরনো ক্লিনিক যেন শান্ত ভাবে মনে করিয়ে দেয়, এই শহর একদিন এমনই ছিল সরল, নিরিবিলি, আর মানুষের ভরসায় ভরপুর। বদলে যাওয়া লাটাগুড়ির মধ্যেও তাই লাটাগুড়ি হোমিওপ্যাথি ক্লিনিক একটি চিকিৎসালয় তো বটেই, সঙ্গে এটি এক টুকরো স্মৃতি, এক টুকরো ইতিহাসও। যা এখনও নিঃশব্দে বয়ে নিয়ে চলছে প্রজন্মের গল্প!





