এই সার্ভের মাধ্যমে সেখানে থাকা হিজল গাছগুলির বয়স সহ বিভিন্ন তথ্য’ও সংগ্রহ করা হবে। এই দুই সার্ভে করার পরই মালদহে অবস্থিত দেশের এই বৃহত্তম হিজল বন সংরক্ষণ করার পরিকল্পনা করা হবে। মালদহ জেলা বন দফতরের ডিএফও জিজু জেসফার জি বলেন, এই বছরেই হিজল বন নিয়ে সার্ভে করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সার্ভে করার পর কীভাবে সংরক্ষণ করা হবে সেই সমস্ত বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করা হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: ছুটির আনন্দ বদলে গেল বিষাদে, বাড়িতে এসে দুর্ঘটনায় মৃত্যু জওয়ানের
মালদহ জেলার হবিবপুর ব্লকের শ্রীরামপুর পঞ্চায়েতে অবস্থিত এই হিজল বন। একেবারে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী সিঙ্গাবাদ ও তিলাসন গ্রামের মাঝে অবস্থিত এই হিজল বন। বন দফতরের তথ্য অনুযায়ী এটি ভারতবর্ষের বৃহত্তম হিজল বন। বছরের অধিকাংশ সময় বিলের জলে ডুবে থাকে হিজল গাছ। ডিসেম্বর মাস থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত বিলে জল থাকে না। সে সময়ই হিজল বনে ঘোরার উপযুক্ত সময়। প্রতিবছর শীতের মরশুমে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের বহু মানুষ ভিড় করেন এই হিজল বনে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, হিজল ফরেষ্টকে ঘিরে স্থায়ী পর্যটন শিল্প গড়ে তোলার। কিন্তু এতদিন কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। এবার দেশের বৃহত্তম এই হিজল বন সংরক্ষণ করতে পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে।
সংরক্ষণের পাশাপাশি আগামীতে কীভাবে এখানে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা যায় সেই বিষয়েও পরিকল্পনা গ্রহণ করবে বন বিভাগ। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই হিজল ফরেস্ট প্রায় ২৫০ হেক্টর জমির উপর অবস্থিত। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে হিজল গাছ কেটে নিচ্ছে চোরাচালানকারীরা। বন দফতরের পক্ষ থেকে তাই টহলদারির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। নিয়মিত এখানে বন কর্মীরা পাহাড়া দিচ্ছেন।
হরষিত সিংহ