এনজেপি থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে ৩ জনকে। তাদের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে নদীর চর এবং সরকারী জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে। অন্যদিকে ভারত-নেপাল সীমান্ত লাগোয়া খড়িবাড়ির বাতারিয়া নদী দখল করে অবৈধভাবে কংক্রিটের বিল্ডিং গড়ে তোলার অভিযোগে গ্রেফতার আরো ৩!
অন্তত ৬০টি অবৈধ নির্মাণ রয়েছে এই বাতারিয়া নদী দখল করে। যার মধ্যে বাড়ির পাশাপাশি দোকানও রয়েছে। সব মিলিয়ে সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়াল ৪৬। লাগাতার অভিযান চলবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন পুলিশ কর্তারা।
advertisement
আরও পড়ুন- এত্ত বড়! ততক্ষণে শেষ খাঁচার গোটা মুরগি, বাড়ির লোক উঁকি মারতেই এ কী ভয়াবহ দৃশ্য
শিলিগুড়ি গ্রামীণ ডিএসপি অচিন্ত্য গুপ্ত জানান, ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যাবতীয় অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এদিকে শিলিগুড়ি পুরসভার ৩২ নং ওয়ার্ডের জ্যোতির্ময় কলোনীতে বেআইনিভাবে জমি দখলের বিরুদ্ধে এনজেপি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যেখানে নাম রয়েছে সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য জীবেশ সরকারের।
১লা মে'র অভিযোগ পত্রে ৮ জনের নামে অভিযোগ করা হয়। তারই প্রতিবাদে পালটা সরব হয়েছে জেলা সিপিএম নেতৃত্ব। আজ এক প্রতিনিধি দল শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মার সঙ্গে দেখা করে এর প্রতিবাদ জানায়।
সিপিএমের জেলা সম্পাদক সমন পাঠক বলেন, দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এমনটা করা হয়েছে। এই ধরনের অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। অথচ যারা প্রকৃত জমি মাফিয়া তারা অবাধে ঘুরছে। গ্রেফতার করা হচ্ছে না। যারা জীবেশ সরকারের নামে অভিযোগ করেছে তাদের চিহ্নিত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী তুলেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত ইতিমধ্যেই এই অভিযোগে বেশ কয়েকজন সিপিএম নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একই অভিযোগে সরব ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়। আজ এনজেপি থানায় পুলিশ আধিকারীকের কাছে নালিশও জানান তিনি। পরে বলেন, যারা আসল জমি মাফিয়া তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না। শাসক দলের নেতা বলেই গ্রেফতার করা হচ্ছে না। উল্টে সাধারণ গরিব মানুষদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- মেঘ কেটেছে! পর্যটক ঠাসা দার্জিলিং, কালিম্পংয়ে হঠাৎ দেখা দিল কাঞ্চনজঙ্ঘা
এদিকে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ বলেন, এক্ষেত্রে কোনো রাজনৈতিক দল, ধর্ম, বর্ণ দেখা হচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। আইন আইনের পথে চলবে। দলের কেউ জড়িত থাকলে তা দলগতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।