পশু চিকিৎসকদের সঙ্গে নিয়ে বন দফতর এবং বিভিন্ন বন্যপ্রাণ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহায়তায় শুরু হয় হাতিটির চিকিৎসা। তবে অন্যান্য বন্যপ্রাণীদের জন্য বেঙ্গল সাফারি এবং দার্জিলিংয়ের পদ্মঝানাইডু হিমালইয়ান জুওলজিক্যাল পার্কে সামান্য চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকলেও হাতিদের জন্য কোন হসপিটাল নেই, বাধ্য হয়ে জঙ্গলের মাঝে বিদ্যুতের বেড়া দিয়ে ঘিরে তার ভেতরেই হাতির যাবতীয় খাবারের ব্যবস্থা থেকে শুরু করে চলছে চিকিৎসা। এর আগেও বিভিন্ন সময় উত্তরবঙ্গে একটি পশু হাসপাতালের দাবি তুলেছিল বিভিন্ন বন্যপ্রাণ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলি।
advertisement
আরও পড়ুন: ফার্স্ট ফ্ল্যাশ চা পাতা তুলতে যাবে তখনই শ্রমিকদের বড় সিদ্ধান্ত! মাথায় হাত পড়ল খুশিতে ডগমগ মালিকদের
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এ বিষয়ে কার্শিয়াং ফরেস্ট ডিভিশনের ডিএফও দেবেশ পান্ডে জানান, ১২ দিন ধরে এই হাতিটির চিকিৎসা চলছে, এই হাতিটির চিকিৎসার জন্য তিনজন ডাক্তার নিয়ে একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। চিকিৎসা সূত্রে একটি রিপোর্টে উঠে এসেছে হাতিটির শরীরে বিগত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ইনফেকশন হয়ে রয়েছে, সেই অর্থেই তার শরীর দুর্বল হয়ে পড়েছে। সেই অর্থেই হাতিটির উপর সব সময় নজর রাখা হচ্ছে। উত্তরবঙ্গে হাতিদের জন্য কোন হাসপাতাল না থাকায় আপাতত জঙ্গলের মধ্যেই ফেনসিং করে তার ভেতরেই হাতিটিকে কোয়ারেন্টাইন করে রাখা হয়েছে। যাতে অন্যান্য হাতি এবং বন্য জন্তুদের মধ্যে এই রোগটি ছড়িয়ে না পড়ে এবং সেখানেই তার খাওয়াদাওয়া থেকে শুরু করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে স্ন্যাপ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কৌস্তুভ চৌধুরী বলেন, টাইফুন সুমা রোগে আক্রান্ত রয়েছে হাতিটি। ২৪ ঘন্টা চলছে নজরদারি। এই হাতিটির সংস্পর্শে এসে যাতে অন্য জীবজন্তুরা এই রোগে আক্রান্ত না হয় সেই অর্থেই জঙ্গলের মধ্যেই ইলেকট্রিক ফেনসিং করে হাতিটিকে কোয়ারেন্টাইন করে রাখা হয়েছে। গত ১২ দিন থেকে হাতিটি চিকিৎসা চলছে, বর্তমানে হাতিটি অনেকটাই সুস্থ রয়েছে। তবে উত্তরবঙ্গে একটি পশু হাসপাতাল বিশেষ করে হাতিদের জন্য একটি হাসপাতাল তৈরি হলে চিকিৎসা ক্ষেত্রে অনেকটাই সুবিধা হবে।
এই ঘটনার পরে ফের একবার সামনে উঠে আসছে হাতিদের জন্য একটি হাসপাতালের দাবি। বিভিন্ন বন্যপ্রাণীদের জন্য বেঙ্গল সাফারি পার্কে চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকলেও হাতিদের জন্য তেমন কোন হাসপাতাল বা চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই। এই ঘটনার পরে ফের একবার জোরালো হল পশু হাসপাতালের দাবি।
সুজয় ঘোষ