লক্ষ্মীপুজো মানেই আলপনা। কিন্তু, ঐতিহ্যবাহী সেই খড়িমাটি বা চালের পিটুলি দিয়ে হাতে আঁকা আলপনা এখন শহরের বাড়িতে খুব একটা চোখে পড়ে না । নয়া প্রজন্মের ব্যস্ততম জীবনে ঘরে আলপনা দেওয়ার সময়ের বড্ড অভাব! সে কারণেই বাজারে এখন দখল নিয়েছে বিভিন্ন রকমারি ডিজিটাল আলপনা। দেদার বিকোচ্ছে সেগুলি। মাত্র ৫ টাকা থেকে শুরু করে ডিজাইন অনুযায়ী বিভিন্ন দাম রয়েছে রকমারি আলপনার। একেই সহজলভ্য অন্যদিকে, ধৈর্য সহকারে হাতে আলপনা আঁকার ঝুট ঝামেলাও নেই। মা লক্ষ্মীর পায়ের ছাপ থেকে শুরু করে বাজারে মেলে নানা রকমের নকশা। সেই ডিজিটাল আলপনা কিনতে ভিড় জমাচ্ছে ক্রেতারা।
advertisement
একদিকে যেমন খড়িমাটি দিয়ে ঐতিহ্যবাহী আলপনা আঁকার প্রচলন খানিক কম হলেও আছে, অন্যদিকে ডিজিটাল আলপনা দখল করে নিচ্ছে বাজার। সহজলভ্যতা এবং কম দামের কারণে ডিজিটাল আলপনা মানুষকে বেশি আকর্ষণ করছে।
একজন ক্রেতা বলেন, “আগে খড়িমাটি দিয়ে আঁকা ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না। কিন্তু এখন ডিজিটাল আলপনা এত সহজলভ্য যে কেউই এটা কিনতে পারে।” বিক্রেতাদের কথায়, “ডিজিটাল আলপনার চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম এগুলো বেশি পছন্দ করে।” ভবিষ্যতে ঐতিহ্যবাহী আলপনার বাজার ডিজিটাল আলপনা দখল করবে তা বর্তমান পরিস্থিতিতেই স্পষ্ট। এভাবেই খড়িমাটি এবং ডিজিটাল আলপনায় এখনও টিকে রয়েছে বাঙালি সংস্কৃতির ঐতিহ্য আলপনা।
সুরজিৎ দে