এ বছর পুজো ১০৭ তম বর্ষে পদার্পণ করছে। উনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে এই এলাকায় একের পর এক চা বাগান তৈরি করেছিলেন ইউরোপিয়ন সাহেবরা। এই সময় চা বাগানে কাজ করার সময় ছোটোনাগপুর, রাঁচি-সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আনা হয়েছিল শ্রমিক। পুজোর সময় ছুটিতে অনেকে তাদের নিজের বাড়িতে চলে যেত এবং ফিরে আসত না। আর এর ফলে বাগানে শ্রমিক সঙ্কট দেখা দিত।
advertisement
চা শ্রমিকরা যাহাতে নিজের বাড়িতে না চলে যায় সেজন্য হ্যামিল্টনগঞ্জে কালী পুজো চালু করে এবং পরবর্তীতে এই কালী পুজোকে কেন্দ্র করে মেলার আয়োজন করে ইউরোপিয়ন সাহেবরা। প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে আয়োজন করা হচ্ছে পুজোর। এবছর এই পুজোর ১০৭ তম বর্ষ। পুজো কমিটির তরফে জানা গিয়েছে, ১৯১৭ সালে ইউরোপিয়ন সাহেবদের হাত ধরে শুরু হয়েছিল এই পুজো।
আরও পড়ুন: ঘন ঘন জোয়ান খান? শরীরে এর ফলে কী হয় জানলে চমকে যাবেন!
প্রথমে একটি কাঠের তৈরি মন্দিরে মাটির প্রতিমা এনে পুজো হত। স্বাধীনতার পর স্থানীয় মানুষেরা প্রতি বছর এই পুজো করে আসছেন।পরবর্তীতে আশপাশের চা বলয়ের শ্রমিক ও জনগণের সহায়তায় পাকা মন্দির ও ২০০২ সালে পাথরের মূর্তি স্থাপন করা হয়। কালী পুজোর দিনে আলিপুরদুয়ার জেলা ছাড়াও আশপাশের একাধিক জেলা থেকে দর্শনার্থীরা মন্দিরে পুজো দিতে আসেন।
পুজো কমিটির সদস্য জীবেশ নস্কর জানান, “১৯১৭ সালে যে রীতিতে পুজো হত সেই রীতি মেনেই আমরা পুজো করে আসছি। তরাই ও ডুয়ার্সের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কয়েক হাজার দর্শনার্থীরা কালী পুজোর সময় মন্দিরে আসেন।পুণ্যার্থীদের বিশ্বাস এই মন্দিরে তাদের মনোকামনা পূরণ হয়।”
অন্যদিকে, এই কালী পুজোকে কেন্দ্র করে হ্যামিল্টনগঞ্জের একাধিক এলাকা জুড়ে আয়জন করা হয় বিশাল মেলারও। এবছর হ্যামিল্টনগঞ্জ কালী পুজো মেলা ৮৯ তম বর্ষ। ইউরোপিয়ন সাহেবরাই এই মেলার আয়োজন করতেন। ১২ দিন ব্যাপী এই মেলা চলবে বলে মেলা কমিটির তরফে জানানো হয়।
Annanya Dey