এই কচু চাষে কোনওধরনের কীটনাশক প্রয়োগ করা হয় না। এই চাষে সারের বেশি প্রয়োজন হয় না। ফলে খরচও অনেকটাই কম। আর তাই কচু চাষ করে কম খরচে অধিক লাভের মুখ দেখছেন চাষিরা। এই কচু চাষে রোগ বালাই থাকে না বললেই চলে। এতে পচনের ভয় নেই বললেই চলে। তাই কৃষকরা বোরো ধানের চাষ বাদ দিয়ে কম খরচে অধিক লাভের আশায় বর্তমানে কচু চাষের প্রতি ঝুঁকছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: সুপারির খোসা ছাড়িয়ে নিয়মিত আয় করছেন মহিলারা, ফিরছে সংসারের হাল
কচু চাষি জ্যোতিষ লস্কর জানান, কচুর পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। ফলে আজকাল এর চাহিদা অনেকটাই বেড়েছে। তাই দামও বেশ ভালই মিলছে। চাষের জমিতে জল জমে থাকলেও কচু চাষে সমস্যা হয় না। এটা অন্যতম একটি সুবিধার দিক বলে তিনি বর্ণনা করেন।
বর্তমান সময়ে বাজারে কচুর সর্বনিম্ন দাম ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। সর্বোচ্চ এক একটি কচু ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হয়। তাই স্বল্প পরিশ্রমে এবং স্বল্প জায়গায় এই চাষ করা লাভজনক। এছাড়া কচুর পাশাপাশি কচুর লতি বিক্রি করেও অতিরিক্ত আয় করা যায়। তাইতো কোচবিহারের কৃষকরা বৃষ্টির মধ্যেও এই চাষ করছেন ব্যাপকভাবে। জল জমা জমিতে সামান্য চাষ করে এই কচু গাছ বুনে দিলেই হবে। তারপর কচু গাছ নিজের গতিতে বৃদ্ধি পেতে শুরু করবে।
সার্থক পণ্ডিত