পঞ্চায়েত ভোটে স্ট্রং রুমে অসঙ্গতি হয়েছে, এই নিয়ে কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ এলাকার নির্দল সহ মোট ১০ জন প্রার্থী কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। এদিন মামলা উঠেছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। জমা দেওয়া ভিডিও ফুটেজ না খোলায় কীভাবে এই ভিডিও ফুটেজ দেখা যাবে, জানতে চান বিচারপতি। তাকে জানানো হয় মেখলিগঞ্জে একটি সফটওয়্যার আছে যা দিয়ে এই ফুটেজ খোলা যাবে।
advertisement
আরও পড়ুন: আর দেরি নয়, বড় বদল আসতে চলেছে তৃণমূলে? লোকসভার আগে দারুণ চমক
এর পরই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, তিনি এখনই মেখলিগঞ্জ যাবেন। এরপর বিকেল ৩.৪০ নাগাদ মেখলিগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। কিন্তু সেখানেও সফটওয়্যার না খোলায় জলপাইগুড়ি ফিরে আসেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। রাত আটটা নাগাদ ফের আদালতে শুনানি শুরু করেন। যে সফটওয়্যারটি প্রযুক্তিগত কারণে খুলছিল না, সেটিকে কলকাতায় পাঠিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের অ্যাডিশনাল অ্যাডভোকেট জেনারেল জয়জীত চৌধুরী জানান, আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য এবং নির্বাচন কমিশনকে এভিডেভিড জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। দুসপ্তাহ পর মামলার আবেদনকারীদের এভিডেভিড জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: লোকসভার আঁচ পেতে অভিনব পথে বিজেপি, উপনির্বাচনেই বাজিমাত চায় গেরুয়া শিবির
মামলাকারীর পক্ষে আইনজীবী কুনালজিৎ ভট্টাচার্য বলেন, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিসিটিভির ফুটেজের হার্ডডিক্স প্রিন্সিপাল বেঞ্চে পাঠিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আগামীতে এই মামলার শুনানি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে প্রিন্সিপাল বেঞ্চেই হবে। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য ও নির্বাচন কমিশনকে এভিডেভিড জমা দিতে হবে। দু সপ্তাহের মধ্যে আবেদনকারীকে এভিডেভিড জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
