যদিও সারা বছর এই মন্দিরে ভক্তদের ভিড় চোখে পড়ে। তবে শ্রাবণ মাস উপলক্ষে ভক্তদের ভিড় কিছুটা হলেও বেড়ে যায় এই মন্দিরে। শ্রাবণ মাসের সোমবার সকাল থেকেই মন্দিরে দ্বিগুণ ভিড় দেখা যায়। জানা গিয়েছে, এই পুণ্য তিথিতে সকলে দেবাদিদেব মহাদেবের পূজার্চনা করে থাকেন।
আরও পড়ুন: মাত্র এক সপ্তাহ আগেই বিয়ে হল, অষ্টমঙ্গলায় গিয়ে সব শেষ! নতুন জামাই এ কী করল!
advertisement
আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটা ব্লকের প্রান্তিক এলাকা জটেশ্বর। এই জটেশ্বর বাজার এলাকায় সুপ্রসিদ্ধ শিবমন্দির এটি। স্থানীয় লোকজনের কাছে জটেশ্বর শিব মন্দির নামে পরিচিতি। এই মন্দিরের ইতিহাস পুরনো।প্রতি শিবরাত্রি এবং শ্রাবন মাসে ভক্তদের ভীড় উপচে পড়ে এই মন্দিরে।আনুমানিক বাংলার ১২৩৩ সালে এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠা করা হয়। এর পেছনে একটি রোমাঞ্চকর কাহিনী রয়েছে।
এই কাহিনীর শুরুতেই বলতে হয়,জটেশ্বরের দক্ষিণে অবস্থিত কাঠালবাড়ি গ্রাম, বর্তমানেও গ্রামটির নাম কাঠালবাড়ি নামেই পরিচিত। জটেশ্বরের পূর্বদিকের গ্রামটির নাম হেদায়েতনগর, এই হেদায়েতনগর গ্রামের জোতদার ছিলেন বেদেং ধ্বনি।তার সময়েই এক আশ্চর্যজনক ঘটনা ঘটে। তারপর গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় মন্দির গড়ে ওঠে। ভক্তবৃন্দদের বিশ্বাস এই মন্দিরে কিছু মানত করলে তা মেলে। মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে শ্রাবণ মাসেই যাতে ভক্তদের কোনরকমে অসুবিধার মধ্যে না পড়তে হয় তার জন্য ভলেন্টিয়ার নিয়োগ করা হয়েছে। ভক্তরা যাতে সুষ্ঠুভাবে পুজো দিতে পারেন তার জন্য এই উদ্যোগ।