TRENDING:

Jangla Kali: দীপান্বিতা অমাবস্যার রাতে গভীর জঙ্গল থেকে কাঁসর-ঘণ্টার আওয়াজ! জংলা কালীর পুজো করছে কে?

Last Updated:

Falakata Jangla Kali: প্রায় পাঁচশো বছর ধরে ফালাকাটায় জংলা কালী পূজিত হচ্ছেন। প্রতি অমাবস‍্যায় ডাকাতরা পুজো দিতেন দেবীর। গভীর জঙ্গলে পুজো হত বলে দেবীর নাম জংলা কালী। ফালাকাটার এই মন্দিরে এক সময় সাধনা করেছিলেন সাধক বামাক্ষ্যাপা।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
ফালাকাটা,অনন‍্যা দে: বাংলার বুকে দেবী চৌধুরানীর আমলের একটি মন্দির এখনও রয়েছে। প্রতি অমাবস‍্যায় ডাকাতরা পুজো দিতেন এই দেবীর। গভীর জঙ্গলে পুজো হত বলে দেবীর নাম জংলা কালী। এই মন্দিরে এসেছিলেন সাধক বামাক্ষ্যাপা। উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার জেলাতে রয়েছে এই মন্দির।
advertisement

প্রায় পাঁচশো বছর ধরে এই মন্দিরে পূজিত হচ্ছেন দেবী কালী। ফালাকাটার এই মন্দিরে এক সময় সাধনা করেছিলেন সাধক বামাক্ষ্যাপা। ইতিহাস জানতে আপনিও আসতে পারেন ফালাকাটার এই জংলা কালী মন্দিরে। এক সময় ফালাকাটার মুজনাই নদীর পাড়ে ঘন জঙ্গল ছিল। সেখানে বন্য পশুদের দেখা যেত সবসময়। এই এলাকায় আসতে ভয় পেতেন স্থানীয়রা। দিনের বেলাতেও মনে হত এই এলাকায় নেমে এসেছে অন্ধকার। মুজনাই নদী দিয়ে সেসময় চলত নৌকায় বাণিজ্য।

advertisement

আরও পড়ুনঃ মায়ের আশীর্বাদে সুস্থ হয় মানসিক ভারসাম্যহীন রোগী! দীপান্বিতা অমাবস্যায় তিরোলের ক্ষ্যাপা কালীর দর্শনে উপচে পড়া ভিড়

জংলা মন্দির স্থাপিত হওয়ার পিছনে রয়েছে একটি গল্প, যা লোকমুখে বহুল প্রচলিত। মন্দির স্থাপিত হওয়ার আগে প্রতিবছর দীপান্বিতা অমাবস্যার রাতে গভীর জঙ্গল থেকে কাঁসর ঘণ্টা আওয়াজ পেতেন এলাকাবাসীরা। পরের দিন সকালে ওই এলাকায় গিয়ে এলাকার বাসিন্দারা দেখতেন দেবী কালীর মূর্তি পূজিত হয়েছেন। পুজোর সামগ্রী পরে রয়েছে বিভিন্ন স্থানে। কে বা কারা পুজো করতেন তা জানতেন না কেউ।

advertisement

View More

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
মহাশ্মশানের বুকে রাজস্থানী রাজমহল! বাঁকুড়ার শতাব্দী প্রাচীন কালীপুজোয় থিমের চমক
আরও দেখুন

এরপর ধীরে ধীরে সেখানে বন জঙ্গল কেটে জনবসতি গড়ে উঠতে থাকে। তারপরে সেখানেই এলাকাবাসীরা একটি ছোট মন্দির গড়ে পুজো শুরু করেন। এরপর মন্দিরটিকে ধীরে ধীরে বড় আকারের গড়ে তোলেন এলাকাবাসীরাই। জানা যায়, সাধক বামাক্ষ্যাপা এই মায়ের মন্দিরে এসে ধ্যান এবং সাধনা করেছেন একসময়। বামাক্ষ্যাপার সেই ধ্যান এবং সাধনা করার বেদীটি এখনও রয়েছে মন্দির প্রাঙ্গণে। সেটিকেও পুজো করা হয় নিত্য। তবে আধুনিকতার ছোঁয়ায় সেই পুরনো নিয়ম নীতিতে কোনও ভাটা পড়েনি।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
Jangla Kali: দীপান্বিতা অমাবস্যার রাতে গভীর জঙ্গল থেকে কাঁসর-ঘণ্টার আওয়াজ! জংলা কালীর পুজো করছে কে?
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল