লোহার ঘেরা বিশেষ অ্যারেনার ভিতর মুখোমুখি দাঁড়ানো দু’টি রোবট। বাইরে উত্তেজনায় ঠাঁসা ছাত্রছাত্রীদের ভিড়। রিমোট-কন্ট্রোলের নির্দেশে কখনও ধাক্কা, কখনও দ্রুত গতির ঘূর্ণি, কখনও আবার প্রতিপক্ষকে কাবু করার চেষ্টা প্রতিটি মুহূর্তে রোবটগুলোর লড়াই যেন দর্শকদের নিশ্বাস বন্ধ করে দিচ্ছিল। রেসলিং রিংয়ের মতোই চারপাশে চিৎকার, উল্লাস আর টানটান উত্তেজনা।
advertisement
এই রোবটগুলো কিন্তু বাজারচলতি নয়! টিন, স্টিল, কাঠের ফ্রেম, লোহার শিট, আর ছাত্রছাত্রীদের সৃজনশীলতা মিলিয়ে তৈরি একেকটি ভিন্ন চরিত্রের যুদ্ধযান। কল্পিত ভারত–পাকিস্তান যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে তৈরি হলেও রোবটের সংঘর্ষের লক্ষ্য ছিল একটাই ভবিষ্যতের প্রযুক্তি ব্যবহারের বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন ও উদ্ভাবনী শক্তিকে শাণিত করা। কলেজ কর্তৃপক্ষের মতে, দীর্ঘ পাঁচ বছরের বিরতির পর এমন একটি ইভেন্ট ফের ফিরে আসা শুধু টেক ফেস্টকেই সমৃদ্ধ করেনি, নতুন প্রজন্মকেও দিয়েছে উৎসাহ আর অনুপ্রেরণা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তাঁদের কথায়, “রোবো ওয়ার শুধুই প্রতিযোগিতা নয়, এটি শেখার ক্ষেত্র ,দলগত কাজ, পরিকল্পনা, মেকানিক্যাল জ্ঞান, আর সমস্যা সমাধানের দক্ষতার এক অনন্য সমন্বয়।” ছাত্রছাত্রীদের মুখেও একই উত্তেজনা। কেউ প্রথমবার রোবট বানিয়েছে, কেউ আবার আগের ভুল শুধরে আরও উন্নত মডেল তৈরি করেছে। তবে লক্ষ্য সবার এক- নিজেদের সৃষ্টি এক মুহূর্তের জন্য হলেও যেন অ্যারেনার আলো কাড়ে। টেক ফেস্টের এই দিনের শেষে একটা কথাই স্পষ্ট, আগামী দিনের প্রযুক্তি যে এই তরুণদের হাতেই আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে, তার ইঙ্গিত মিলল রোবো-অ্যারেনার প্রতিটি সংঘর্ষেই!





