শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে রায়পুর চা বাগান। ২০১৮ সাল থেকে বন্ধ হয়ে পড়ে এই বাগান। সেই থেকে চা উৎপাদন বন্ধ থাকলেও শ্রমিকরা চা পাতা তুলে রোজ, বাগানটি এক সংস্থা অধিগ্রহণ করেছে। তাতেই চলে প্রায় ৩০০ শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের সংসার।
আরও পড়ুন: সিভিক ভলেন্টিয়ারদের নিয়ে হাজার সমালোচনা, এরই মাঝে নজিরবিহীন ঘটনা মুর্শিদাবাদে! জানলে অবাক হবেন আপনিও
advertisement
শ্রমিকদের হাতে আসে দৈনিক ১৮০ টাকা হাজিরা। না আছে বোনাস, না আছে পিএফ। কিন্তু এই টাকার মধ্যেই একদিনের উপার্জন তাঁরা মন্দির কমিটিকে তুলে দেন দুর্গাপুজোর জন্য। এই সামান্য অর্থেই হয়ে ওঠে বাগানের পূজা। প্রায় ৬০০ পরিবারের গ্রাম জুড়ে তখন উৎসবের আমেজ। পুজোর মন্ডপ তৈরি হচ্ছে, আর পাশেই জঙ্গলে ঢেকে থাকা পুরনো চা কারখানা নীরব সাক্ষী। তবুও আশা ছাড়েন না জলপাইগুড়ির শ্রমিকরা। তাঁদের একটাই প্রার্থনা মা দুর্গা যেন আশীর্বাদ করেন, আবার যেন খুলে যায় বাগান। তাহলেই জীবনে ফিরবে সচ্ছলতা, আর আরও ধুমধাম করে পূজিত হবে উমা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
চা বাগানের শ্রমিক সুরজ মুন্ডা জানান, “২০০২ সালের পর থেকে ধাপে ধাপে বাগান বন্ধ হচ্ছে আবার খুলছে। এখনও বন্ধের মুখে এই বাগান। কীভাবে চলবে তা নিয়ে তার সংকট থেকেই যাচ্ছে। কখনও শোনা যাচ্ছে খুলবে, কখনও আবার…। মায়ের কাছে আমাদের একটাই আলোচনা যত দ্রুত বাগান করে যাক। তাহলে সব সমস্যা দূর হয়ে যাবে তাদের জীবন থেকে।”