স্বাধীনতা দিবসের দিনই হাতে এসেছে তিন লক্ষ টাকার চেক। নতুন পোশাক, মাদল কিনে পর্যটকদের সামনে আরও উজ্জ্বলভাবে হাজির হতে চলেছেন সঞ্জনা ওরাও ও তাঁর দল। রেঞ্জার সঞ্জয় দত্তের উদ্যোগে গড়ে ওঠা ‘পথ প্রদর্শক’ সেলফ হেল্প গ্রুপের সদস্যা ২৪ জন আদিবাসী যুবতী। গরুমারা জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন এই গ্রাম থেকেই তাঁদের সাংস্কৃতিক নৃত্য ছড়িয়ে পড়ছে দেশ-বিদেশের পর্যটকদের মনে। বনবস্তির মেয়েদের আর্থিক স্বাধীনতার স্বপ্ন আজ বাস্তব হয়েছে এই দলের মাধ্যমে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ পুরুলিয়ায় অঘোষিত বনধ! অফিস-আদালত ফাঁকা, দোকানপাট বন্ধ! শহরে হঠাৎ হল কী?
সঞ্চালক সঞ্জনা ওরাও জানালেন, ‘পর্যটকদের জন্য নয় মাস জঙ্গল খোলা থাকে। আমরা তখন ট্রাইবাল ড্যান্স পরিবেশন করি। এর থেকেই কয়েক লক্ষ টাকার আয় হয়েছে। আজ তিন লক্ষ টাকা হাতে পেয়ে খুব আনন্দ হচ্ছে। নতুন সাজে নতুন মাদলের আওয়াজে পুজোর মরসুমে দেশ-বিদেশের অতিথিদের স্বাগত জানাতে আমরা প্রস্তুত’।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বিভাগীয় বনকর্তা ভি বিকাশ। তিনি বলেন, লাটাগুড়ি রেঞ্জের দু’টি বনবস্তিতে সেলফ হেল্প গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে। পর্যটকদের জিপসি সাফারির অংশ হিসেবে এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন তাঁরা। গত মরসুমে এই গ্রুপগুলির আয় হয়েছিল প্রায় ১১-১২ লক্ষ টাকা। সম্প্রতি সেই অর্থের শেষ অংশ সদস্যাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এতে শুধু আর্থিক স্বাধীনতাই নয়, আদিবাসী সংস্কৃতি বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরার সুযোগও মিলছে। আদিবাসী সংস্কৃতির ঢাক-ঢোল, নৃত্যের তাল ও হাসিমুখে পর্যটকদের স্বাগত জানাতে তৈরি সঞ্জনা ও তাঁর সাথীরা। পুজোর আগে পুজোর প্রস্তুতিতে এই আর্থিক স্বনির্ভরতা যেন আরও একবার স্বাধীনতার নতুন মানে শেখাল ডুয়ার্সের বনবস্তিকে!