স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শিশুটির বাবা বিশ্বজিৎ রায় এদিন সকালে কাজে যাওয়ার সময় তার দাদার কাছে শিশুটিকে রেখে যান। শিশুটি হাঁটতে ভালবাসে বলে কোল থেকে নামিয়ে দেন শিশুর জ্যেঠু। ঠিক সেই সময় বাড়ির পাশেই গিলান্ডি নদীর ধারে গরুকে খাবার দিতে যান শিশুটির মা। মায়ের পিছন পিছন ও বাড়ির অন্যান্য শিশুদের সঙ্গে খেলতে খেলতেই নদীর কাছে চলে যায় ওই শিশুকন্যা।
advertisement
আরও পড়ুন: জীবিত মাকে মৃত বানিয়ে ব্যাঙ্কের মোটা টাকা হাতিয়ে নিল গুণধর ছেলে! সন্তানের কুকীর্তিতে হতবাক হাওড়া
সবার নজর এড়িয়ে কোনও এক সময় শিশুটি নদীতে পড়ে যায় বলে অনুমান। কিছুক্ষণ পর শিশুটিকে দেখতে না পেয়ে তল্লাশি শুরু করেন পরিবারের সদস্যরা। পরে নদীতে শিশুটির পা ভাসতে দেখে আতঙ্ক ছড়ায়। দ্রুত নদী থেকে উদ্ধার করে ধূপগুড়ি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
হাসপাতালে কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃত শিশুর পরিবারের সদস্যরা। শিশুটির দেহ ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি মর্গে পাঠানো হয়। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়। মৃত শিশুর বাবা বিশ্বজিৎ রায় বলেন, “ও একটু হাঁটতে ভালবাসে বলেই কোল থেকে নামিয়ে দিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম স্নান করিয়ে ঘরে নিয়ে যাব। বুঝতেই পারিনি কখন নদীর দিকে চলে যাবে। আমাদের চোখের আড়ালেই সব শেষ হয়ে গেল।”






