কীভাবে হচ্ছে এই কাজ? প্রতিদিন বাড়ি বাড়ি থেকে যে বর্জ্য সংগ্রহ করা হয় সবজির খোসা, ফলের খোসা, পচা খাবার বা অন্যান্য জৈব বর্জ্য সেগুলি আর ফেলা হচ্ছে না অযত্নে। বরং সেইসব নোংরাই এখন পরিণত হচ্ছে মূল্যবান জৈব সারে। পুরসভার সূত্রে জানা যায়, এই সার সম্পূর্ণ রাসায়নিকমুক্ত এবং পরিবেশবান্ধব। শীতের সবজি চাষ, ফুলচাষ বা ফলনের উন্নতিতে এটি দারুণ কার্যকর। পরীক্ষামূলক ভাবে জমিতে এই সার ব্যবহারের পর ফলন বৃদ্ধির ভাল প্রমাণও মিলেছে বলে দাবি কর্মকর্তাদের।
advertisement
আরও পড়ুন: ডেঙ্গির প্রকোপ ঠেকাতে ভরসা গাপ্পি আর লার্ভিসাইড অয়েল! শীতের শুরুতেই শহরতলীতে উঠে পড়ে নামল পৌরসভা
পুরসভার এক কর্মী জানান, “আমরা শুধু শহরকে পরিষ্কার করছি না, একই সঙ্গে কৃষকদের জন্যও তৈরি করছি চাষের স্থায়ী রাসায়নিক বিহীন পদ্ধতি। এই সার মাটির উর্বরতা বাড়ায় এবং দীর্ঘমেয়াদে জমির স্বাস্থ্য ভাল রাখে। সবচেয়ে বড় কথা, দীর্ঘদিন ধরে বর্জ্যের গন্ধ ও দূষণ নিয়ে বিরক্ত ছিলেন স্থানীয় মানুষ। সেখানে এই প্রকল্প শুরু হওয়ায় পরিবেশ অনেকটাই বদলে যাচ্ছে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এলাকাবাসীর একাংশের বক্তব্য, “এটা শুধু বর্জ্য নিষ্কাশনের প্রকল্পের পাশাপাশি এটা শহরের ভাবনার পরিবর্তন।” এদিকে, পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, খুব শিগগিরই এই জৈব সার শহরের বিভিন্ন দোকান এবং কৃষি কেন্দ্রে পাওয়া যাবে সুলভ মূল্যে। নোংরা ফেলার জায়গাকে সম্পদের উৎসে রূপান্তর করার এই পদক্ষেপ জলপাইগুড়িকে পরিচ্ছন্ন শহর হিসেবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে আর কৃষকদের হাতে তুলে দিচ্ছে নতুন আশার আলো!





