অভিযোগ, ধূপগুড়ির ভেমটিয়া গ্রামের বাসিন্দা সাজাহান আলি দীর্ঘদিন ধরে ইনস্টাগ্রামে যোগাযোগ রাখতেন তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকার সঙ্গে। মাঝেমধ্যে চলত ইঙ্গিতপূর্ণ মেসেজও। সকালে সাজাহানের ছবিতে ওই প্রাক্তন প্রেমিকার দেওয়া লাভ রিঅ্যাক্টের সঙ্গে আসে একটি মেসেজ, “হাই সোনা, কেমন আছো?” মেসেজ চোখে পড়তেই বিষয়টি জানতে চান স্ত্রী রুবিনা বেগম। অভিযোগ, রুবিনার প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে উল্টে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন সাজাহান। কথার কাটাকাটি মুহূর্তে রূপ নেয় বেধড়ক মারধরে। ঠিক সেই সময় রুবিনা ফোনে কথা বলছিলেন তার দিদি বিউটি পারভিনের সঙ্গে। ফোনেই চিৎকার শুনে বিউটি ছুটে আসেন বোনের বাড়ি। এবার আরও বাড়ে সংঘাত। অভিযোগ, রুবিনাকে মারধর করতে দেখে প্রতিবাদ করলে ননদ রাবেয়া খাতুন বালতি দিয়ে মাথায় আঘাত করেন বিউটির। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। পরে তিনজনকে উদ্ধার করে ধূপগুড়ি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
advertisement
প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছাড়া হয় তাঁদের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশের সামনেও রুবিনা ও বিউটিকে মারধর করা হয়। ঘটনার পরে পুরো ভেমটিয়া গ্রামে তীব্র চাঞ্চল্য। একটি সামান্য লাভ রিয়্যাক্ট যে সংসার ভাঙা–মারপিট–রক্তাক্ত সংঘর্ষে পৌঁছতে পারে, তা ভেবে বাকরুদ্ধ সবাই। সোশ্যাল মিডিয়ার ভালবাসা এবার পৌঁছে গেল হাসপাতালে।






