অসংখ্য বাধা আর সীমিত সাধ্যের মধ্যেও স্বপ্ন দেখা থেমে থাকেনি শ্রেয়া সরকারের। ১৪ জুলাই গুগলের বেঙ্গালুরু অফিসে সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যোগ দিলেন জলপাইগুড়ির এই মেয়ে। বার্ষিক বেতন ৫৪ লক্ষ টাকা।
জলপাইগুড়ি শহরের অরবিন্দনগরের বাসিন্দা শ্রেয়া সদ্যই জলপাইগুড়ি গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে গ্র্যাজুয়েট হয়েছেন। পারিবারিক আর্থিক সঙ্কটের কথা বিবেচনা করে কলেজ কর্তৃপক্ষ তাঁর টিউশন ফি মকুব করেছিল। আর সেই সুযোগকে সার্থক করে তুলেছেন তিনি।
advertisement
অনেকের কাছেই গুগলে চাকরি পাওয়া স্বপ্নের মতো। কীভাবে এই চাকরি পান? শ্রেয়ার কথায়, কঠোর পরিশ্রম, একাগ্রতা সহকারে পড়াশোনা এবং ধৈর্য … মূলত এই তিনেই মিলবে সাফল্য। তিনি নিজেও কলেজে পড়াশোনা করার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের মেন্টরশিপ প্রোগ্রাম, কিছু স্কিল ডেভেলপমেন্ট কোর্স করেছিলেন। পাল্লা দিয়ে চলত বিভিন্ন বড় কোম্পানির ইন্টারভিউ পাশ করার প্রস্তুতি।
নানা কোম্পানিতে ইন্টারভিউ দেওয়ার পর কখনও সাফল্য ,কখনও ব্যর্থতা সব মিলিয়েই ভেঙে না পড়ে চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছিলেন শ্রেয়া। অবশেষে আসে স্বপ্নের সুযোগ! শ্রেয়ার বাবা আবির সরকার একটি আসবাবপত্রের দোকানে কাজ করেন, আয় মাসে মাত্র ১০ হাজার টাকা। মা শিখা সরকার গৃহবধূ।
আরও পড়ুন- এসি চলবে, কিন্তু বিল আসবে ফ্যান চলার মতো! এসির ঘরে করতে হবে ‘ছোট্ট’ এই কাজ
শ্রেয়ার একটি ছোট বোন আছে, এখন নবম শ্রেণিতে পড়ে। সীমিত উপার্জনের মধ্যেও মেয়েদের পড়াশোনায় কোনওরকম বাধা আসতে দেননি মা-বাবা। শ্রেয়া বলেন, “গুগলে কাজ করার স্বপ্নটা ছোট থেকেই ছিল। কলেজে থাকতেই গুগলে ইন্টার্নশিপ করি। অনেকবার ইন্টারভিউ দিয়েছি, শেষ পর্যন্ত প্রি-প্লেসমেন্ট অফার পেয়ে চোখের জল আটকে রাখতে পারিনি।” তাঁর এই সাফল্যে গর্বিত কলেজ কর্তৃপক্ষও। কম্পিউটার সায়েন্সের বিভাগীয় প্রধান সুভাষ বর্মন বলেন, “ওর অধ্যবসায় আমাদের গর্বিত করেছে। শ্রেয়া শুধু আমাদের কলেজ নয়, গোটা জলপাইগুড়ির মুখ উজ্জ্বল করেছে।”
সুরজিৎ দে