ভারতের বন্যার ইতিহাসে ১৯৬৮ সালের তিস্তা-করলার ভয়াবহ বন্যা অতি উল্লেখযোগ্য। এমন বন্যা বিপর্যয় পরবর্তীতে বারবার ১৯৭৮ সালের দামোদর, অজয়, দারকেশ্বর, ময়ূরাক্ষীর ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনা করা হয়। আবারও একই দিনে ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন ব্লকে।
advertisement
আরও পড়ুন: পেয়ারা পাতার এত গুণ? ক্যানসার থেকে ডায়াবেটিস, কাছে ঘেঁষবে না এই সব মারণরোগ
মঙ্গলবার সকালে স্কুলগুলোতে শিশুরা গেলেও বেলা বাড়তেই নদীর পরিস্থিতি খারাপ হয়ে ওঠার কারণে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে সব বিদ্যালয়ে। সেই একই ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে তিস্তা। ১৯৬৮ সালের ৪অক্টোবরে তিস্তার বন্যার ইতিহাস আজও গেঁথে আছে স্থানীয় বিজয় চক্রবর্তীর মনে। মঙ্গলবার তিস্তা নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে বিজয় বাবু বলেন, “একদম সেই ১৯৬৮ সালের মতো রুপ ধারণ করেছে তিস্তা, সেই দিনে আমরাও অনেক মাছ ধরেছিলাম দিনের বেলায়, তবে ভোরের আলো ফুটতেই তিস্তা কেড়ে নিয়েছিল হাজার হাজার মানুষের প্রাণ।”
আরও পড়ুন: হাজার হাজার টাকার ওষুধ নয়, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের নিখুঁত দাওয়াই কাঁচা কলা খান! অবিশ্বাস্য গুণ
ঠিক কী হয়েছিল সেদিন? আজ থেকে প্রায় ৫ দশক আগে ঠিক ৪ অক্টোবর সন্ধে থেকেই বিচ্ছিন্ন হয়েছিল জল শহর। তিস্তার তোড়ে উপচে গিয়েছিল করলা। ভেঙেছিল করলার সেতু। ততক্ষণে জলপাইগুড়ি ডুবতে চলছে জলের তলায়। ভারতের বন্যা ইতিহাসে নজির হয়ে রয়েছে এই বিপর্যয়। এত কম সময়ে একটি শহর তলিয়ে যেতে পারে তা ভাবা যায়নি। বন্যার মাঝে, অন্ধকারে জীবন বাঁচাতে সবাই নিজের মতো চেষ্টা করেছিলেন।
জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতাল ডুবে গিয়েছিল জলের তলায়। বহু রোগী জলে ডুবে মারা যান। ৫ অক্টোবর সামনে আসে সেই ভয়াবহ দৃশ্য। মনে হচ্ছিল এ যেন মৃতদের শহর। জলে ভাসছে সারি সারি মানুষ, গরু, মোষ, কুকুরের মৃত শরীর। সে এক বীভৎস পরিবেশ। মনে পড়লে আজও কাঁটা দেয় শরীরে।
সুরজিৎ দে