বর্ষার জংলি রানিকে স্বচক্ষে দেখতে হলে আপনাকে এই সময় আসতে হবে ডুয়ার্সের জঙ্গল লাগোয়া এলাকায়। প্রত্যেক বছর জুন থেকে আগামী তিন মাস বন্যপ্রাণীদের প্রজনন বিষয়াদির জন্য বন্ধ থাকে জঙ্গলের দরজা। সে কারণেই পর্যটকরাও আসা বন্ধ করে ডুয়ার্সে। স্বাভাবিক ভাবেই ফাঁকা পড়ে থাকে জঙ্গল লাগোয়া রিসর্টগুলি। তবে বর্ষাতেই যে আসল রূপ নেয় ডুয়ার্স। তাই এই সময় এখানে এলেই দেখতে পাবেন ঢেউয়ের ফেনায় সাদা হয়ে ওঠা উত্তাল মূর্তি, ডায়না নদী।
advertisement
আরও পড়ুন: চামড়া বুড়িয়ে যাচ্ছে? রাতে শোওয়ার আগে ‘এই’ এক কাজে চকচক করবে মুখ! রইল সিক্রেট টিপস
মনে হবে যেন সুন্দরী নদীগুলো সবুজ গালিচার উপর দিয়ে বইছে। আবার কপাল ভাল থাকলে রাস্তাতে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় বুনো হাতির দলকে। তাই রিসর্টে বসে বুনোদের ছবি তুলতে পারবেন পর্যটকরা। এখানেই শেষ নয়, বর্ষায় অর্কিড-সহ নানা বাহারি ফুলে ভরে থাকে ডুয়ার্স। এই সময় পাট কেটে জলে ভাসানো এবং ধানের চারা রোপণ করার উৎসব চলে ডুয়ার্স এবং পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায়। সেও অদ্ভুত সুন্দর।
আরও পড়ুন: লোকে বলে ‘দুঃখের বৃক্ষ’, উপকার শুনলে আনন্দই-আনন্দ! আয়ুর্বেদের ‘মহৌষধ’ এই পাতা
অন্যদিকে, কখনও আকাশে মেঘের ঘনঘটা, আবার কখনও সূর্যিমামার উঁকি, কখনও ঝিরিঝিরি বৃষ্টি তো কখনও নীল চকচকে আকাশ। আশপাশের গ্রামের পথে পা বাড়াতেই চোখে পড়ে নদী নালায় জাল পেতে এলাকার বাসিন্দাদের কুচোমাছ ধরার দৃশ্য থেকে শুরু করে নাম না জানা পাখিদের কলতান, নদীর স্রোতের শব্দ, পাহাড় থেকে বয়ে আসা ঝর্ণার গতি, আর চারপাশে সবুজে সবুজ চা বাগান মিলে যায় সহজে। সব মিলে মায়াবতী ডুয়ার্স। বলাই বাহুল্য, প্রকৃতির আসল রসদ পেতে বর্ষায় আসতেই হবে ডুয়ার্স ভ্রমণে।
সুরজিৎ দে