আরও পড়ুন: মর্মান্তিক ঘটনা! মায়ের কামড়েই মৃত্যু তিন রয়েল বেঙ্গল শাবকের, উঠছে অনেক প্রশ্ন
সম্প্রতি জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বিডিও মিহির কর্মকারের পরিদর্শনকালে নবম ও দশম শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীদের স্কুলছুটের সংখ্যা নজরে আসে। বছরের এই সময় প্রায় প্রত্যেকটি স্কুলেই চোখে পড়ার মতো ছাত্রছাত্রী সংখ্যা কমে যায়। স্কুলগুলোতে গেলে জানা যায়, নবম ও দশম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরা তুলনামূলকভাবে বেশি ছুটি নিচ্ছে। কিছু পড়ুয়া অর্থ উপার্জনের জন্য কাজে লেগে পড়েছে, যেমন কেউ আলু খেতে যাচ্ছে, আবার কেউ চা বাগানে শ্রমিকের কাজ করছে। কাজেই এসব পড়ুয়াদের স্কুলে ফিরিয়ে আনার জন্য বিডিও নিজে বিভিন্ন স্কুল পরিদর্শন করছেন, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে আলোচনা মধ্য দিয়ে এবং অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলছেন, যাতে তারা তাদের সন্তানদের পুনরায় স্কুলে পাঠাতে রাজি হন।
advertisement
আরও পড়ুন: রান্নার গ্যাস নিয়ে বড় খবর! বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাবে এক সেকেন্ডে, জানুন কী করতে হবে
তথ্য পরিসংখ্যানের মধ্য দিয়ে উঠে এসেছে বেশিরভাগ স্কুলে একসঙ্গে ৩৫ জনেরও বেশি পড়ুয়া ড্রপ আউট হয়েছে, আবার কিছু স্কুলে ৪ থেকে ৫ জন পড়ুয়া স্কুল ছেড়েছে। এসব পড়ুয়াদের পুনরায় স্কুলে ফিরিয়ে আনতে ও তাদের পরীক্ষার ব্যবস্থা করতেই এই উদ্যোগ নিয়েছেন বিডিও মিহির কর্মকার। কোনওভাবেই তাদের যাতে পড়াশোনার বছর নষ্ট না হয় তা নিশ্চিত করতেই এই উদ্যোগ। এমন একটি পদক্ষেপ স্কুলছুট পড়ুয়াদের পড়াশোনায় ফিরিয়ে আনতে সহায়ক হবে এবং তাদের ভবিষ্যত গড়ে তুলতে সাহায্য করবে বলেই মনে করছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।