ঘাস চাষের উদ্যোগ নিয়েছিল বন দফতর। আর তাতেই কয়েক হাজার শ্রমিকের মুখে রোজগারের হাসি ফুটেছে। জানা গিয়েছে, জলদাপাড়া লাগোয়া কালচিনি, ফালাকাটা, মাদারিহাট-বীরপাড়া ও আলিপুরদুয়ার ১ ব্লকের গ্রামগুলি থেকে শ্রমিকরা এই কাজে যুক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৭০ শতাংশই মহিলা শ্রমিক। কাজ পেয়ে খুশি তাঁরাও।
আরও পড়ুন : ভরসা ছিল পুজোর বাজার, প্রকৃতির কোপে এখন চিন্তা ঋণ পরিশোধের! চাষিদের বুকফাটা হাহাকার
advertisement
এই ঘাস চাষ করার জন্য কর্তৃপক্ষ প্রায় ২০ হেক্টর জমি ব্যবহার করছে। যার মধ্যে তৈরি করা হয়েছে ১৪টি নার্সারি। আর সেখানেই চাষ করা হচ্ছে ঘাস। তাও আবার ১২ রকমের ঘাস চাষ করা হচ্ছে এখানে। যে কাজে মূলত ব্যবহার করা হচ্ছে মহিলাদের। সেখানে চাষ হচ্ছে মোট ১২ রকম দেশি ঘাস—চেপ্টি, ঢাড্ডা, পুরন্ডি, মধুয়া, মালসা, ভুট্টা ইত্যাদি।
আরও পড়ুন : দুষ্কৃতীদের ঘুম কেড়ে নিতে দুর্গাপুরে পুলিশের নতুন চাল! আর চোখ এড়ানো যাবে না
উদ্যান কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, এই নার্সারি থেকে প্রায় ৩০০ হেক্টর জুড়ে নতুন তৃণভূমি তৈরি হবে। যার ফলে গন্ডার, হাতি, বাইসন, হরিণদের খাদ্য সংস্থান করা আরও সহজ হবে। তাদের খাদ্য ভাণ্ডার আরও শক্তিশালী হবে। এমনটাই জানিয়েছে বন দফতর।
আরও পড়ুন : ২০ বছরের পুরনো সেতুর ভয়ঙ্কর পরিণতি, পাইপই এখন ভরসা! দিশেহারা একাধিক গ্রাম
প্রসঙ্গত, এক শৃঙ্গ গন্ডারের প্রিয় খাদ্য মধুয়া ও মালসা। আবার হাতির প্রিয় ঢাড্ডা ও চেপ্টি। তাই প্রাণীদের স্বাভাবিক খাদ্যাভ্যাস মাথায় রেখে বিশেষভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছে এই ঘাস চাষের। ইতিমধ্যেই জলদাপাড়া ও সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকায় ঘাস চাষের কাজ চলছে। এর ফলে একদিকে কর্মদিবস তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে। আবার অন্যদিকে পরিবেশ সংরক্ষম এবং তৃণভোজী প্রাণীদের খাদ্যসংস্থান করে দেওয়া সহজ হয়েছে।