বেহাল পরিকাঠামো এমনটাতেই শেষ নয়, বিকেল গড়াতেই সমাজবিরোধীদের দখলে চলে যায় এলাকা বলে অভিযোগ। জয়গাঁ বাস স্ট্যান্ড অবস্থিত দারাগাঁও এলাকাতে এই বাস স্ট্যান্ড থেকে শিলিগুড়ি, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, ফালাকাটা মিলিয়ে ৬০ টির ওপরে বাস চলে দিনভর। ভিন রাজ্যে যাওয়ার বাস চলে ১০ টির ওপরে। পাকা বাস টার্মিনাস, তবে প্রবেশের মুখ ভাঙাচোরা। টার্মিনাসের দেওয়ালের সিমেন্টের চাঙ্গর খসে পড়ছে প্রতিনিয়ত। বাস স্ট্যান্ডের প্রবেশের মুখ এতটাই খারাপ যে অনেক যাত্রী বাস বাইরে আসার জন্য বাইরে অপেক্ষা করতে থাকেন। বাস বাইরে এলেই তারা বাসে চাপেন।
advertisement
আরও পড়ুন: জঙ্গলের পথ থেকে আচমকা চা বাগান! জোড়া বাইসনের দাপাদপিতে কালঘাম ছুটল বাসিন্দাদের
দিনের বেলায় যেমন তেমন, বিকেল হলে আর বাস স্ট্যান্ডমুখী হতে চায়না কোনও যাত্রী। অভিযোগ বিকেল গড়াতেই পরিবেশ অন্যধরণের হয়ে যায়। বিকেল গড়াতেই মাদকাসক্তদের মুক্তাঙ্গনে পরিণত হয় জয়গাঁ বাস স্ট্যান্ড। সকাল হতেই দেখা যায় এদিক, ওদিকে ছড়িয়ে রয়েছে নেশার সামগ্রী। জয়গাঁ বাস টার্মিনাসে নেই কোনও শৌচালয়। যার ফলে সমস্যায় পড়তে হয় যাত্রী থেকে শুরু করে বাস চালকদের। বড় বিষয় বাস স্ট্যান্ডে রাতে থাকার মত ঘরের অভাব চালকদের কাছে। যার জন্য তাঁদের বাধ্য হয়ে থাকতে হয় ভাড়া বাড়িতে। সন্ধ্যা হতেই লাইট না থাকার কারণে অন্ধকারে ডুবে যায় গোটা বাস স্ট্যান্ড।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই বিষয়ে জে সি পন্ডিত নামের এক ব্যক্তি জানান “কোনও পরিষেবা নেই। পানীয় জলের ব্যবস্থাটুকু নেই। কমিটি কে চালায় সেটা আমরা জানিনা। শুনেছিলাম বাস টার্মিনাসে শপিং মল, থাকার জায়গা আরও নানা পরিষেবা মিলবে, কিন্তু কিছুই তো মেলে না।”
জয়গাঁ বাস স্ট্যান্ড দেখার কমিটি কাদের নিয়ে গঠিত জানেননা কোনও বাস চালক, কনডক্টর। কারণ কমিটির কোনও সদস্য আসেননি কোনওদিন বাস স্ট্যান্ডের পরিস্থিতি দেখতে। ২০১৮ সালে পাকা বাস টার্মিনাস শুরু হয়। এখনও অনেক কাজ হয়নি। এই বাস স্ট্যান্ডের দায়িত্ব রয়েছে জয়গাঁ উন্নয়ন পর্ষদের অধীনে। এই বিষয়ে চেয়ারম্যান গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা জানিয়েছেন, “বাস স্ট্যান্ডের পরিস্থিতি নজরে রয়েছে। ৩ কোটি টাকা কাজের ডিপিআর হয়েছে।”
Annanya Dey