ছাত্রছাত্রীদের পড়াশুনায় আগ্রহ বাড়াতে বিদ্যালয় চত্বরেই একটি পাখিদের থাকার জায়গা তৈরি করেছে । ২০১৮ সালে ৩০ টি বদ্রিপাখি (Pet birds at school) এনে এই উদ্যোগ শুরু হয়েছিল । পড়ে তা বংশবিস্তার করে ৪০টি পাখি হয়। ছাত্রছাত্রীদের কাছে এই পাখি দেখা আলাদা একটা আনন্দ। সব কিছুকে ওলটপালট করে ২০২০ সালের গোড়ায় সারা পৃথিবীকেই আক্রমণ করে করোনা ভাইরাস। অতিমারি আবহে দীর্ঘ দিন বন্ধ এই স্কুল ৷
advertisement
স্বাভাবিক পরিচর্যা ও খাওয়া সত্ত্বেও ছাত্রছাত্রীদের কোলাহল না থাকায় হয়তো ভাল লাগেনি এই বদ্রিপাখিদের । করোনা ও লকডাউন পর্বে প্রায় ৩০টি পাখির মৃত্যু হয়েছে । গত কয়েক মাস যাবদ করোনা সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে । পঠনপাঠন চালু না হলেও অন্য কাজ করার জন্য বিদ্যালয় কিছুসময়ের জন্য খুলছে । আসছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং অন্যান্য কর্মচারীরা ।
আরও পড়ুন : মা দুর্গা পাড়ি দিচ্ছেন অসম, মেঘালয়, নেপালে! খুশীর হাওয়া শিলিগুড়ির কুমোরটুলিতে...
কাজের জন্য স্কুলের গেট খুলতে হচ্ছে । তখন স্থানীয় ছাত্রছাত্রীদের আর আটকে রাখা যাচ্ছে না । পাখির টানে ছেলেমেয়েরা সোজা চলে যাচ্ছে । বেশ কিছু ক্ষণ পাখিদের সঙ্গে সময় কাটিয়ে তার পর তারা বাড়ি ফিরছে । দীর্ঘ দিন বাদে পাখি দেখার আনন্দে তারা মেতে উঠছে। প্রধানশিক্ষক জাকির আবেদিন জানান, ‘‘পড়ুয়াদের পঠনপাঠনের একঘেয়েমি কাটাতে এবং পাখিদের সঙ্গে পরিচয় করানোর লক্ষ্যে একটি পাখির আবাস তৈরি করা হয়েছিল।’’
আরও পড়ুন : নাম লবসাং নিমা, পকেটে ভারতীয় ভোটার-আধার কার্ড! মানুষটির আসল পরিচয়েই বিরাট চমক
বিদ্যালয়ের খুব কাছেই থাকেন কর্মচারী সুব্রত চন্দ্র কর্মকার । তাকে পাখি পরিচর্যার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল । তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে এই দায়িত্ব পালন করছেন । সুব্রত জানান, ‘‘বিদ্যালয়ের কাজ শেষ হলে তিনি পাখিদের পরিচর্যা করতেন । ছোট ছোট পাখিদের পরিচর্যা করার আনন্দই আলাদা।’’ দীর্ঘদিন পাখি দেখতে না পেয়ে ছাত্রছাত্রীদের মন খারাপ । ঋতিক বর্মন নামে এক ছাত্র জানাল, ‘‘ বিদ্যালয়ে ক্লাস শেষে পাখি দেখার আনন্দই আলাদা ।’’
দীর্ঘ দেড়বছর যাবদ বিদ্যালয় বন্ধ । বন্ধ পড়ুয়াদের পাখি দেখা । তাই তাদের মন খারাপ । বিদ্যালয়ের গেট খোলা দেখেই বন্ধুদের নিয়ে পাখি দেখতে চলে এসেছে সুব্রত । দীর্ঘ দিন পরে পাখি দেখতে পেয়ে তারা খুশি।