তিনি ধূপগুড়ি ব্লকের শালবাড়ি সংলগ্ন খলাইগ্ৰাম এলাকার বাসিন্দা। শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাঁর স্বামী কোনও কাজ করতে পারেন না। তাই বলে কি তাঁরা অনাহারে থাকবেন? তা হয় নাকি? তাই বাড়িতে বসে না থেকে সংসারের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন স্বদেশী(lady toto driver)৷ বিভিন্ন ঋণদানকারী সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে টোটো কেনেন। এরপর টোটো চালানো শুরু করেন। এখন তাঁর টোটোতে উঠতে দেখা যায় আবালবৃদ্ধবণিতাকে।
advertisement
আরও পড়ুন : গর্ভস্থ শিশুর কথা ভেবে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় এই ফলটি নিয়মিত খান
ধূপগুড়ির রাজপথে দেখা মিলল তাঁর । টোটোতে বসে রয়েছেন আর এক মহিলা। সেই যাত্রী বললেন, ‘‘আমি ধূপগুড়ি থেকে মোরঙ্গা যাব। এই টোটোতে উঠলাম। একজন মহিলা হিসেবে গর্ববোধ করছি। এখন মহিলারা আর পিছিয়ে নেই। আমরা যে শুধু হাতা, খুন্তি চালাতে পারি, তা নয়। আমরাও সংসারের দায়িত্ব পালন করতে পারি৷’’
আরও পড়ুন : আপনার কিশোরী কন্যার প্রথম বার ঋতুস্রাব হয়েছে? শারীরিক ও মানসিকভাবে ওকে ভাল রাখতে নজর দিন এই বিষয়গুলিতে
আরও পড়ুন : মরশুমি রোগবালাইয়ের দিকেও বসন্ত হল ঋতুরাজ, সুস্থ থাকতে এভাবেই করুন খাওয়াদাওয়া
সেই প্রমীলা টোটো চালক স্বদেশী বিশ্বাস বলেন, ‘‘স্বামী আগে কাজ করতেন, এর পর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি কোনও কাজ করতে পারেন না। তাই সংসারের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিই। ঋণদানকারী সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে টোটো কিনি। প্রথমে অনেকে অনেক কিছু বলেছেন। সে সব গায়ে মাখিনি, কেন না আমার সংসার আমাকেই দেখতে হবে। এখন আর কেউ কিছু বলে না। দু’পয়সা রোজগার করে দুই সন্তান ও স্বামী-সহ সংসার ও জীবন পালন করছি।’’
( প্রতিবেদন : রকি চৌধুরী)