পূর্ব রেলের শুধুমাত্র মালদহ ডিভিশনেই গত ২০২৪-২৫ বছরে বিনা কারণে রেলের অ্যালার্ম চেন অপব্যবহারের ঘটনা ঘটেছে প্রায় ১৪শো-র আশপাশে। রেলের তথ্য বলছে, গত আর্থিক বছরে মালদহ ডিভিশনে রেলের অ্যালার্ম চেন পুলিং-এর মামলা নথিভুক্ত হয়েছে ১৩৯৩টি। এমন ঘটনায় আরপিএফ ১৩৪৫ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। এক্ষেত্রে অভিযুক্তদের কাছ থেকে জরিমানা বাবদ মালদা ডিভিশনের আয় হয়েছে তিন লক্ষ ৯১ হাজার ৯৫০ টাকা!
advertisement
আরও পড়ুন: ব্যাঙ্কে ঢুকে মহিলা বললেন, ‘টাকা তুলব’! চেক দিলেন ক্যাশিয়ারের হাতে, তারপর? এ কী লেখা?
অ্যালার্ম চেন পুলিং বা এসিপি অপব্যবহার রেল অ্যাক্টের ১৪১ নম্বর ধারা অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ। আইন অনুযায়ী, এক্ষেত্রে এক হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা, এক বছরের কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ড হতে পারে। কারণ, বিনা কারণে অ্যালার্ম চেন পুলিং ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় এবং যাত্রীদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও সমস্যা সৃষ্টি করে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত এক বছরে পূর্ব রেলের মালদহ ডিভিশনে সবচেয়ে বেশি এসিপি অপব্যবহারের ঘটনা ঘটেছে ভাগলপুর থেকে নাথনগর এবং মালদহ থেকে গৌড় মালদা স্টেশনের মাঝে বিভিন্ন অংশে।
আরও পড়ুন: এবার নজরে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা, সোমবার হাইকোর্টে শুনানি! ফের হবে চাকরি বাতিল?
মালদহের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার মণীশ কুমার গুপ্ত জানিয়েছেন, এসিপি রেলের জরুরি পরিস্থিতির জন্য নির্ধারিত গুরুত্বপূর্ণ এক সুরক্ষা ব্যবস্থা। এর অপব্যবহার শুধু ট্রেন চলাচলের দেরি ঘটায় তা নয়। যাত্রীদের নিরাপত্তার উপরেও প্রভাব ফেলে। অনেকে চিকিৎসা, কর্মসংস্থান বা অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনে নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে রেলের উপর নির্ভরশীল। সে ক্ষেত্রে অ্যালার্ম চেন পুলিং এর অপব্যবহার হলে তা যাত্রীদের জন্য অত্যন্ত অসুবিধেজনক ঘটনা। তাই অপ্রয়োজনে বা অকারণে এসিপির ব্যবহার থেকে সতর্ক হতে হবে রেল যাত্রীদের।
সেবক দেবশর্মা