প্রাথমিক অনুমান, ডাউন ১৫৯০৯ অবদ আসাম এক্সপ্রেস থেকে পড়েই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তবে কীভাবে তিনি ট্রেন থেকে পড়লেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। প্রত্যক্ষদর্শীদের কেউ কেউ দাবি করেছেন, ট্রেনের জানালা দিয়ে বাইরে ঝুঁকে থাকার সময় ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে গিয়েছিলেন ব্যক্তি। আবার কেউ কেউ সন্দেহ প্রকাশ করেছেন, তাঁকে ইচ্ছাকৃতভাবে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে কি না— তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন: আমেরিকার বিখ্যাত ফল অ্যাভোকাডোর চাষ এবার পাঁশকুড়ায়! ফলন এলেই লাভ কয়েক লক্ষ টাকা, গুণাগুণও অনেক
রেল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে গিয়ে ট্রেনটির চেন টেনে সেটিকে থামানো হয়। তবে কে বা কারা চেন টেনেছিল, সে বিষয়ে নিশ্চিত নয় কর্তৃপক্ষ। চেন টানার ঘটনাকে ঘিরেও নতুন প্রশ্ন উঠেছে— ট্রেনে উপস্থিত অন্য যাত্রী কি কিছু দেখেছিলেন, নাকি ঘটনার সঙ্গে কোনও অন্য যোগসূত্র রয়েছে? মৃত ব্যক্তির নাম–পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তাঁর বয়স আনুমানিক ৩৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে বলে জানা গেছে। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে নিউ জলপাইগুড়ি রেল মর্গে। তদন্তকারীদের মতে, দেহের অবস্থান ও আঘাতের চিহ্ন দেখে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা সম্ভব হবে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
স্থানীয় সূত্রে খবর, তিন মাইল হাট এলাকাটি তুলনামূলকভাবে নির্জন এবং রাতে পর্যাপ্ত আলো না থাকায় সেখানে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। তবু এই ঘটনার রহস্যজনক দিক— বিশেষত ট্রেন থামানো এবং মৃতের পরিচয়হীনতা— পুলিশের নজর কেড়েছে। ইতিমধ্যেই রেল পুলিশের একটি বিশেষ দল ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে। এক রেল আধিকারিক বলেন, “চেন পুলিং, ট্রেনের গতিবেগ ও দুর্ঘটনার সময়সূচি— সব কিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ট্রেনের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের চেষ্টা চলছে।” ঘটনাটি ঘিরে এখন একটাই প্রশ্ন— দুর্ঘটনা, না কি এর পিছনে লুকিয়ে আছে অন্য কোনও রহস্য?






