ফেসিয়াল রিকগনিশন সফটওয়্যারের মাধ্যমে যে কোনও অপরাধীর মুখমণ্ডল চিহ্নিতকরণ হবে মুহূর্তে। এর ফলে আরপিএফ কর্তাদের বিশেষ নজরদারিতে থাকবে স্টেশনে আসা সেই অপরাধী। অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লাগাম দিতে এতদিন এই ব্যবস্থা চালু ছিল দেশের ব্যস্ততম বড় শহরের রেল স্টেশনগুলোতে। তবে এবারে এই বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার হবে মালদহ টাউন রেল স্টেশনে। এতদিন সিসিটিভির মাধ্যমে নজরদারির চললেও অপরাধ দমনের ক্ষেত্রে খুব একটা সফলতা আসেনি। তবে এবারে এই নতুন প্রযুক্তির পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড এড়ানো যাবে বলে দাবি আরপিএফ কর্তৃপক্ষের।
advertisement
মালদহে পূর্ব রেলের আরপিএফ আইজি অমিয় নন্দন সিনহা জানান, “রেল স্টেশনে রেল স্টেশন চত্বরে নিত্যদিন ঘটে চলা চুরি ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লাগাম টানতে এই বিশেষ প্রযুক্তিগত পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। শুধুই প্ল্যাটফর্ম বা সংরক্ষিত জায়গা নয় এবারে স্টেশন চত্বরের জনশূন্য স্পর্শকাতর জায়গাতেও থাকবে নজরদারি।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তিনি আরও জানান, “রেলের খাতায় অপরাধী বা এর আগে যারা কখনও কোনও অপরাধে আরপিএফ দ্বারা গ্রেফতার হয়েছে। তারা যখন স্টেশন চত্বরে প্রবেশ করবে তখন তাদের মুখমণ্ডল সিসিটিভিতে দেখা যেতেই আরপিএফ এর কন্ট্রোলরুমে বার্তা চলে যাবে। আরপিএফ তার উপর নজর রাখবে এবং জিজ্ঞাসাবাদ করবে। অর্থাৎ সে যাতে পুনরায় কোনওভাবে অপরাধ না সংঘটিত করতে পারে।” ফেসিয়াল রিকগনিশন সফটওয়্যার প্রযুক্তিটি বিশেষত চোখ, নাক, মুখ এবং মুখের গঠনের অবস্থান এবং সেগুলিকে একটি ডেটাবেসে সংরক্ষিত ছবির সঙ্গে তুলনার মাধ্যমে কাজ করবে। এই প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে রেলের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হবে বলে আশাবাদী রেল আধিকারিকরা।