উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল এবার আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে রুখতে চলেছে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। সেবকের গুলমা থেকে আলিপুরদুয়ার পর্যন্ত ১০৮ কিলোমিটার রেলপথে চালু হয়েছে ইন্ট্রুশন ডিটেকশন সিস্টেম। অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে কাজ করবে এই প্রযুক্তি, যা ট্রেন লাইনে হাতির উপস্থিতি টের পেলেই সঙ্গে সঙ্গে সংকেত পাঠাবে গেটম্যান, স্টেশন মাস্টার, লোকো পাইলট ও গার্ডকে। ফলে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে, বাঁচানো যাবে নিরীহ প্রাণ।
advertisement
আরও পড়ুন: হারিয়ে যাচ্ছে পুঁটি, বোরোলি, টেংরা…! বাঁচাতে এবার অভিনব উদ্যোগ মৎস্য দফতরের
শুধু হাতি নয়, এই প্রযুক্তি রেলপথে নাশকতা, ফাটল, ভূমিধস বা জলাবদ্ধতার মত বিপজ্জনক পরিস্থিতিরও সতর্কবার্তা দেবে। ইতিমধ্যেই হাসিমারা, বিন্নাগুড়ি, চালসা, মালবাজার, গোরুমারা ও লাটাগুড়ি স্টেশন সংলগ্ন হাতি করিডরগুলিতে এই প্রযুক্তির ট্রায়াল চলছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজার চেতন শ্রীবাস্তব জানান, “রেল চলাচলের গতি অক্ষুণ্ণ রাখার পাশাপাশি বন্যপ্রাণীদের নিরাপত্তাও আমাদের অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে। প্রযুক্তির সাহায্যে এই সংঘর্ষ এড়ানোই মূল লক্ষ্য।” প্রকৃতির বুকে আধুনিক প্রযুক্তির এমন সংযোজন নিঃসন্দেহে আশার আলো দেখাচ্ছে। হাতি মৃত্যু রুখে মানুষ-প্রকৃতির সহাবস্থানের পথে এক ধাপ এগিয়ে গেল রেল।
সুরজিৎ দে





