আরও পড়ুনঃ ১৯৪৭ সালে ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়নি কোচবিহার! মার্জার এগ্রিমেন্টে অন্তর্ভুক্তি হয় ১৯৪৯ সালে
প্রথমে সাপ্তাহিক হাটগুলিতে গোপনে স্বদেশিকতার প্রচার শুরু হয়। ইংরেজরা ১৮৯০ থেকে ১৯১০ সালের মধ্যে রায়ডাক নদীর অববাহিকায় ছ’টি চা বাগানের পতন করেছিল। প্রাথমিক পর্যায়ে ইংরেজরা স্থানীয় গ্রামবাসীদের বাগিচা শ্রমিকে রূপান্তরিত করার কৌশল নিয়েছিল। কিন্তু ইংরেজদের ওই প্রলোভনে পা দেননি ভূমিপুত্ররা। সেখান থেকেই বিরোধিতার সূত্রপাত। এরপর ছোটনাগপুর মালভূমি এবং ওড়িশা থেকে জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষদের বাগানগুলিতে নিয়ে আসা হয়েছিল।
advertisement
কয়েক হাজার চা শ্রমিকের রসদ সরবরাহের জন্য কুলকুলিতে একটি দ্বি-সাপ্তাহিক হাটের সূচনা করেছিল ইংরেজরা। রসদের জোগান নিশ্চিত করার পাশাপাশি হাটের দিনগুলিতে গ্রামের মানুষকে বাগে পেয়ে খাজনা আদায় করে নিত পেয়াদারা!
১৯২১ সালে গান্ধিজি অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিতেই সক্রিয় হয়ে ওঠে মঘা বাহিনী। হাটের দিনগুলিতে চলতে থাকে অসহযোগিতার নীরব প্রচার। খাজনা বয়কটের পাশাপাশি বিদেশী পণ্য ব্যাবহারেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেন মঘা। এরপর ইংরেজদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে ১৯২২ সালে কুলকুলির হাটটিকেই মঘারা তুলে আনেন অসম সীমানা লাগোয়া কুমারগ্রামে।
যোগাযোগের তার কেটে, পোস্ট অফিস পুড়িয়ে দিয়ে মঘা-বাহিনী দখল করেছিল কুমারগ্রাম থানা। কিন্তু বিপ্লবীরা জানতেন না, নিউল্যান্ডস চা বাগানের সঙ্গে একটি তারের সরাসরি সংযোগ ছিল আলিপুরদুয়ারে। এসডিও জ্ঞানসিং কোহলনের কাছে খবর পৌঁছতেই তিনি সেনা নিয়ে ২৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে আলিপুরদুয়ার থেকে কুমারগ্রামের উদ্দেশে রওনা হন। ইংরেজ পল্টনের উপস্থিতি অনুভব করতে পেরেই কুমারগ্রাম থানার পুলিশকর্মীরা সক্রিয় হয়ে ওঠেন। পুলিশকর্মীরা আত্মসমর্পণ করার পরে থানার অস্ত্রাগারটির দখল করেন আন্দোলনকারীরা।
Annanya Dey