সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ খাড়কা জানান, স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা চললেও বা ফলাফল ঘোষণার দিন থাকলেও সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। তাঁর বক্তব্য, শিক্ষকদের ন্যায্য অধিকারের দাবিতে এই আন্দোলন। সংগঠনের আহ্বান উপেক্ষা করলে যদি কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে, তার দায় সংগঠন নেবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ হিমেল পরশে পাহাড়ে নামছে পারদ! আজ দিনভর কেমন থাকবে উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া, জেনে নিন হালহকিকত
advertisement
শিক্ষক সংগঠনের দাবি, গত প্রায় ২৫ বছর ধরে এই শিক্ষকরা দার্জিলিং পাহাড়ের সরকারি শিক্ষাব্যবস্থা পরিচালনা করে আসছেন। ২০০২ সাল থেকে স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে, যা প্রশাসনিক ব্যবস্থার ত্রুটি। এই ত্রুটির দায় শিক্ষকদের উপর চাপানো যায় না। তৎকালীন সরকার ও জিটিএ এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী বলে সংগঠনের অভিযোগ।
উল্লেখ্য, জিটিএ-র নিয়ন্ত্রণে পাহাড়ে মোট ৩৬০টি মাধ্যমিক স্কুল রয়েছে। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে রাজ্য সরকার জিটিএ-কে শিক্ষক নিয়োগের নির্দেশ দেয়। ওই বছরের জুন মাসে ৩১৩ জন শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। এই নিয়োগকে বেআইনি দাবি করে কলকাতার বাসিন্দা জসুমুদ্দিন মণ্ডল হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন। মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, প্রাক্তন জিটিএ প্রধান বিনয় তামাং ও তৃণমূল যুব নেতা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের নামও জড়ায়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
মামলার শুনানিতে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু ৩১৩ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন এবং তাঁদের বেতন বন্ধ করার কথাও বলেন। পাশাপাশি সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। এই রায়ের খবর পাহাড়ে পৌঁছতেই শিক্ষকমহলে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে এবং তারই পরিণতিতে অনির্দিষ্টকালের বনধ ও আন্দোলনের পথে হাঁটল শিক্ষক সংগঠন।






