বাস মালিকদের অভিযোগ, বালুরঘাটের বেশিরভাগ টোটোর বৈধ কাগজপত্র নেই। জাতীয় ও রাজ্য সড়কের পাশাপাশি পকেট রুটগুলিতেও টোটোর সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে বাসে করে যাতায়াত করতে একশ্রেণির মানুষ অনীহা প্রকাশ করছে। বারংবার জেলাশাসক, আরটিও থেকে শুরু করে প্রশাসনিক বিভিন্ন মহলে জানিয়েও কোন লাভ হয়নি, সেখানে শুধু আশ্বাস মিলেছে। এদিকে এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ব্যবসায় লস করে তাঁরা আর বাস চালাতে পারছেন না। তাই এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন।
advertisement
এই সমস্যার সমাধান না হলে পরবর্তীতে মেইন রুটগুলোতেও বন্ধের চিন্তাভাবনা করবেন বলে বাস মালিকরা জানিয়েছেন। এদিন বাস মালিকদের স্বল্প পাল্লার বাস ধর্মঘটের ডাক দেওয়ার পর পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামল পুলিশ ও পরিবহন দফতর। এদিন বালুরঘাট সদর ট্রাফিক ডিএসপি এবং জেলা আঞ্চলিক পরিবহন আধিকারিক একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে টোটো চলাচলে নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে জানান।
এবিষয়ে বালুরঘাট সদর ডিএসপি ট্রাফিক বিল্ব মঙ্গল সাহা জানান,”টোটো চলাচল নিয়ে পরিবহন দফতরের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। পুলিশ এবং পরিবহন দফতর যৌথভাবে কাজ করবে। রাজ্য সরকার টোটো চলাচলে একটি রোড গাইড প্রকাশ করতে চলেছে। তা পাওয়া গেলে সেই হিসেবে কাজ করা হবে। আপাতত বাস মালিক এবং টোটো উভয়েই যাতে কিভাবে চলাচল করবে তা নিয়ে পরিবহন দফতরের নির্দেশ অনুযায়ী পুলিশ কাজ করবে।”
আরও পড়ুনঃ Malda News: এম এ পাস মৃৎশিল্পী! মেলেনি চাকরি! অভাবের সংসার চালাতে প্রতিমা গড়াই ভরসা
পুজোর আগে বাস মালিকদের বাস ধর্মঘটের ডাক দেওয়ায় রাত পোহাতেই টোটো চলাচল নিয়ন্ত্রণে সিদ্ধান্ত নিল পুলিশ প্রশাসন। এদিন বালুরঘাট সদর ট্রাফিক অফিসে বৈঠকে বসে ট্রাফিক আধিকারিক এবং জেলা পরিবহন আধিকারিক। বৈঠক শেষে জেলা পরিবহন আধিকারিক অনুপম চক্রবর্তী সাংবাদিকদের জানান,”ইতিমধ্যেই টোটো চলাচলের রোড ম্যাপ রাজ্য সরকার তৈরি করছে, যা দ্রুত প্রকাশ হতে চলেছে। তা প্রকাশের পর সরকারি নিয়ম হিসেবেই টোটো চলাচলে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। আপাতত জাতীয় সড়কে টোটো চলাচল নিয়ন্ত্রণে আজ থেকেই পথে নামবে জেলা পরিবহন দফতর।” তবে, পুজোর আগে এমন বাস ধর্মঘটে ভোগান্তি বাড়বে সাধারণ মানুষের বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
সুস্মিতা গোস্বামী





