পুলিশের দাবি, সম্পর্কিত কাকিমার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল বিবাহিত যুবক সাদ্দাম নাদাপের। সেই সম্পর্ক নিয়ে ব্ল্যাকমেইল করাতেই তাঁকে দুনিয়া থেকে সরানোর পরিকল্পনা করেন স্বামী-স্ত্রী। মালদহে অভিযুক্তের বাড়িতে নিহত যুবকের অফিস এপ্রিল মাসেই বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে, মালদহে খুনের ঘটনা ঘটালে বিষয়টি হইচই বা সহজে জানাজানি হয়ে যেতে পারে ভেবেই দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনে কাকিমা মৌমিতা হাসানের বাপের বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয় সাদ্দামকে। এর আগের গত ১৬ মে বাপের বাড়িতে পৌঁছে যায় মৌমিতা হাসান। ১৮ মে নিজের বাপের বাড়িতে সাদ্দামকে ফোন করে ডাকে মৌমিতা। নিজের এক আত্মীয়ের বাড়িতে সাদ্দামের স্কুটি রাখা হয়।
advertisement
আরও পড়ুনTwo Brothers Story: মহিষ খুঁজতে জঙ্গলে দুই ভাই, সামনে সাক্ষাৎ যমদূত, তারপর যা ঘটল…
পুলিশ জানিয়েছে, সাদ্দামের শরীরে অন্তত তিনটি জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। প্রথমে মৌমিতা একাই খুন করেছে বলে দাবি করে। অন্যদিকে খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করছিল স্বামী রহমান। কিন্তু, নিহত যুবকের শরীরের ওজন, সিঁড়ি র ধাপ এবং প্রমাণ লোপাটের চেষ্টার ধরন দেখে পুলিশ নিশ্চিত হয় এই ঘটনা মৌমিতার একার কাজ নয়। এরপর টানা জিজ্ঞাসাবাদে খুনের ঘটনায় স্ত্রীর সঙ্গে থাকার কথা স্বীকার করে রহমান।
ধৃত পেশায় স্কুল শিক্ষক রহমান নাদাপকে আজ মালদা জেলা আদালতের পেশ করে পুলিশ। যদিও আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে খুনের ঘটনা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি রহমান।
মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব জানিয়েছেন, নিহত যুবকের খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্র, নিহতের পোশাক উদ্ধারের জন্য ধৃতদের আরও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে। নিহত এবং অভিযুক্তদের ফোনের কল ডিটেলস পরীক্ষা করছে পুলিশ। খুনের ঘটনায় স্বামী, স্ত্রী ছাড়া আর কেউ জড়িত কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সেবক দেবশর্মা-লিপেশ লালা