বর্তমানে শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এসজেডিএ)-এর সিইও পদেও রয়েছেন তিনি। শিলিগুড়ি বয়েজ হাই স্কুলে পুরসভার ‘আলোর দিশারী’ বিশেষ কোচিং ক্যাম্পে শিক্ষকের ভূমিকায় ছিলেন তিনি। এ দিন ঘণ্টা খানেক পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেন। পড়াশোনার পাশাপাশি জীবনে সাফল্য পেতে কী করতে হবে সে কথাও বলেন পড়ুয়াদের।
advertisement
উল্লেখ্য, কয়েক মাস ধরেই ‘আলোর দিশারী’ নামে এই বিশেষ কোচিং ক্লাস শুরু হয়েছে। শহরের প্রচুর পড়ুয়ারা আর্থিক অভাবের জন্য প্রাইভেট টিউশন পড়তে পারেন না। সপ্তাহে চার দিন তাদের জন্য বিশেষ ক্লাস করানো হয়। বিভিন্ন স্কুলের নবম, দশম ও একাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের পড়ানো হয়।
সেখানেই ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে দেখা করেন মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা আইএএস আধিকারিক অভিজিৎ। ২০১৫ সালে ইউপিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন অভিজিৎ। তিনি বলেন, “চেষ্টা করি পড়ুয়ারা যাতে ভাল করে পড়াশোনা করে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। ওদের সাহায্যের জন্য সব সময়েই পাশে থাকব।”
নবম শ্রেণির পড়ুয়া মানিক মণ্ডলের কথায়, “ক্লাস খুব ভাল লেগেছে। রোজ পাঠ্যবই ছাড়াও অন্য বই পড়ার কথাও বলেছেন।” মেয়র গৌতম দেব বলেন, “পড়ুয়াদের পড়াশোনার মানকে ভাল করতে ও তাঁরা যাতে পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করতে পারে সে জন্য নানা ভাবে সাহায্য করা হচ্ছে। ভাল সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।
আগামীতে এই ক্যানকে আরও বড় আকারে করার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।” আলোর দিশারীর আহ্বায়ক ও শিক্ষক রণজয় দাস বলেন, “এ বছরে ১০৫ জন পড়ুয়া কোচিং ক্লাসে নাম নথিভুক্ত করছেন।”তাঁর কথায় বহুদিন আগেই এই বিনামূল্যে টিউশন ব্যবস্থা শুরু করতে পেরেছেন তাঁরা। কিভাবে আমরা সকলের পাশে দাঁড়াতে পারবেন সেই চেষ্টাই চলছে।
অনির্বাণ রায়