শুরু হয়েছিল ঠিক দু‘বছর আগে। দক্ষিণ দিনাজপুরের প্রত্যন্ত এ লেখাগুলিতে বেশিরভাগই নিম্নবিত্ত পরিবারের বাস।বালুরঘাট ব্লকের চকভৃগু গ্রাম পঞ্চায়েতের আখিরা পাড়া, বেলাইন, সিংপাড়া এলাকার বেশিরভাগই পরিবারের ছেলে মেয়েরাই সরকারি প্রাথমিক স্কুলে পড়ে। তবে এতটুকুই। তাদের টিউশন দেওয়ার মত অবস্থা পরিবারের নেই। সেই ভাবনা থেকেই এই ছোট্ট ছোট্ট ছেলেমেয়েদের সাহায্য করার উদ্যোগ নেন বালুরঘাট জিআরপি থানার পুলিশকর্মীরা।
advertisement
সপ্তাহে একদিন খোলা আকাশের নীচে বসে এই সমস্ত ক্ষুদেদের পাঠশালা। এ বিষয়ে বালুরঘাট জিআরপি থানার ওসি রতন সরকার জানান, “প্রতি রবিবার তাদের এই স্কুল বসে। স্কুলে এসে বাচ্চারা প্রার্থনা করে, তারপর রোল কল হয়, এমনকি পড়ার পর শেষে খাবার দেওয়া হয়।’’ তবে তাঁরাই নিজেদের পয়সা খরচ করে বাচ্চাদের খাওয়ান। শিশুদের পুলিশ সম্পর্কে একটা ভয় থাকলেও তাঁদের দেখে ভয় পায় না এই শিশুরা। এমনকি কোনও পড়ুয়া না এলে তাঁকে ডেকেও পাঠানো হয়। তাঁদের ঠিক করে দেওয়া পুরুষ ও মহিলা পুলিশ এবং সিভিকরা পড়ুয়াদের পড়ানোর কাজ করে।
আরও পড়ুন : খেলতে খেলতে ভেঙে ফেলেছিল মায়ের কানের দুল! সেই থেকে শিল্পী হয়ে উঠল সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র
এই স্কুলের মোট পড়ুয়ার সংখ্যা ৩০ – ৩৫ জন। বর্তমানে ধীরে ধীরে আরও বাড়ছে সেই সংখ্যা। তবে শুধুমাত্র পড়াশুনাই নয়, প্রত্যেককে পড়া শেষে দেওয়া হয় টিফিন বা ভারী খাবার। এই সমস্ত শিশুদের বেড়ে উঠার পথে যেসমস্ত ঘাটতি রয়েছে পুলিশকর্মীরা তা পূরণের চেষ্টা করে প্রতিনিয়তই। তবে শুধুমাত্র পড়াশুনাই নয়, তার পাশাপাশি বাচ্চাদের মনোসংযোগ বাড়াতে শুরু করা হয়েছে দাবা প্রশিক্ষণ। ভবিষ্যতে এই সমস্ত শিশুরাই যাতে ইন্টারন্যাশনাল দাবা টুর্নামেন্ট খেলতে পারে তার জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবেন জিআরপি থানার ওসি রতন সরকার।