বাড়ির গৃহবধূ প্রীতি দাস জানান, টিয়া পাখির নাম পরিবারের সকলে মিলে রেখেছে মিঠু। এই নামে ডাকলেই উত্তর দেয় সে। সবসময় পরিবারের কাছে থাকতেই সে বেশি পছন্দ করে। কাঁধের মধ্যে সে বসে থাকতে বেশি ভালবাসে। তবে বর্তমানে মিঠু তাঁর ভক্ত বেশি হয়ে উঠেছে। তিনি ঘুমোতে গেলে তাঁর মাথার বালিশের পাশে সেও গিয়ে চুপ করে বসে থাকে। দিনের পর দিন মিঠু এভাবেই সকলের সঙ্গে রয়েছে। বর্তমানে পরিবারের এক সদস্য সে। বাড়ির বাইরে গেলেও তাঁকে নিয়ে যেতে হচ্ছে। নাহলে সে পিছু নিচ্ছে নিজে নিজেই।
advertisement
আরও পড়ুন: ভূতুড়ে এই বিল্ডিংয়েই লুকিয়ে রয়েছে ভবিষ্যৎ গড়ার চাবিকাঠি! খুলে দেওয়া হোক, চাইছেন বাসিন্দারা
প্রীতি দাসের ছেলে শুভঙ্কর দাস জানান, ছোট থেকেই মিঠুকে খাইয়ে দেওয়া এবং দেখাশোনা করত তাঁর দিদি। দিদির বিয়ে পর মিঠু তাঁর সঙ্গে থাকতে শুরু করে। মাঠে খেলতে গেলেও, মিঠু তাঁর সঙ্গেই যেত। তবে এখন মিঠু তাঁর মায়ের ভক্ত হয়ে উঠেছে। তবে মিঠু কাজু বাদাম এবং ঘি ভাত খেতে দারুণ পছন্দ করে। পরিবারের আরেক সদস্য রঞ্জিত কুমার দাস জানান, “বন্য প্রানকে ভালবাসলে সেও যে বশ হয় এই মিঠু তারই প্রমাণ। দীর্ঘ ৯ থেকে ১০ বছর ধরে মিঠু দাস পরিবারের এক সদস্য।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
মানুষ ও বন্য প্রাণের ভালবাসার নিদর্শন আগেও বহু পাওয়া গিয়েছে। তবে জেলার এই পাখি ও মানুষের ভালবাসার ছবি অবাক করছে সকলকে। জেলায় এই ধরনের ঘটনা বেশ কিছুটা বিরল। তাই বহু মানুষ তাঁদের বাড়িতে যান মিঠুকে দেখতে। তবে বেশি মানুষ কিছু পছন্দ করেনা মিঠু। বেশিরভাগ সময় প্রীতি দাসের কাঁধে বসে একা থাকতেই সে বেশি পছন্দ করে।
Sarthak Pandit





