গত ৮ জুলাই সিজার করার সময় আল্পনা বর্মণ বিশ্বাস নামের এক রোগীর মূত্রনালী কেটে ফেলার অভিযোগ ওঠে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তে হইচই শুরু হয়ে যায় আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের অন্দরে। যদিও হাসপাতাল সুপার আশ্বাস দিয়েছিলেন আরেকটি অস্ত্রোপচার করে মূত্রনালী জোড়া লাগিয়ে দেওয়া হবে। সেটাই সত্যি হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় উইফার প্রভাবে বাংলায় নিম্নচাপ, ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস কোন কোন জেলায়? আবহাওয়ার বড় খবর
জানা গিয়েছে, গত ৮ জুলাই কোচবিহারের বাসিন্দা আলপনা বর্মণ বিশ্বাস প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে। সেদিনই তাঁর সিজার করা হয়। রোগীর শারীরিক পরিস্থিতি ঠিক নেই দেখে তাঁকে হাসপাতালে রেখে দিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। তখনও কিছুই জানতে পারেননি রোগীর পরিজনেরা বলে অভিযোগ। তারপর এক ভোরে হটাৎ করেই ব্লিডিং শুরু হয় রোগীর। তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি শুরু হলে তাঁকে হাসপাতালে সিসিইউ-তে স্থানান্তরিত করেন চিকিৎসকরা।
.
আরও পড়ুন: চাকরিরতদের জন্য বিরাট সুযোগ যাদবপুরে, ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া যাবে খুব কম খরচে! আসন সংখ্যা ১৬২
সেই সময় হাসপাতাল সূত্রে রোগীর পরিজনেরা জানতে পারে গর্ভে শিশুর স্থান বিপজ্জনক অবস্থায় থাকায় মূত্রনালী কাটতে হয়েছিল। যদিও ওই রোগীর সদ্যোজাত শিশু সুস্থ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রোগীর পরিজনেরা ক্ষোভ উগরে দেন হাসপাতালের বিরুদ্ধে। হাসপাতাল সুপার ডাঃ পরিতোষ মণ্ডলকে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়। গত তিনদিন আগে অস্ত্রোপচার হয়েছে ওই রোগীর। সফলভাবে জুড়ে দেওয়া হয়েছে তাঁর মূত্রনালী বলে জানা যায়।
হাসপাতাল সুপার ডাঃ পরিতোষ মণ্ডল জানান, “সিজার করার সময় ওই রোগীর জরায়ুর পাশে মূত্রনালী এমনভাবে ছিল যে সেটিকে না কেটে শিশুটিকে বের করা যাচ্ছিলনা। তবে কথা মতো ওই রোগীর আরেকবার অস্ত্রোপচার করে মূত্রনালী জুড়ে দেওয়া হয়েছে। ইউরোলজি বিভাগ ফের দুর্দান্ত কাজ করেছে।”
Annanya Dey





