শারদোৎসবের আগে থেকেই ভিড় জমছিল। এখন তো আরও বাড়ছে। দার্জিলিং স্টেশন হোক কিংবা হোটেলের বারান্দা, ম্যালের ভিউ পয়েন্ট বা টাইগার হিল! কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরূপ সৌন্দর্য যেন হাতের মুঠোয়! পর্যটকদের ঢল নামায় খুশি পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িতরাও। কোভিডের দুই ঢেউয়ে কার্যত কাত হয়ে পড়েছিলেন যাঁরা, আজ তাঁরাই ধীরে ধীরে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে।
advertisement
আরও পড়ুন : দেড় বছর পর ফের শুরু হল শিলিগুড়ি-কাঠমান্ডু বাস পরিষেবা, খুশি পর্যটকরা
পর্যটকদের টানতে উদ্যোগী দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে-ও! ইতিমধ্যেই দার্জিলিং ও ঘুমের মধ্যে বাড়ানো হয়েছে জয় রাইডের সংখ্যা। চালু করা হয়েছে কার্সিয়ং ও মহানদী স্টেশনের মধ্যে ট্যুরিস্ট স্পেশাল ট্রেন। তার আগে চালু হয় শিলিগুড়ি জংশন এবং রংটংয়ের মধ্যে "জাঙ্গল টি সাফারি"! এ বার আরও এক পরিষেবা চালু করল DHR। দার্জিলিং ও কার্শিয়ংয়ের মধ্যে নয়া পরিষেবা চালু হচ্ছে। যার নাম " হিমকন্যা" (Himkanya Train from Darjeeling to Kurseong)!
আরও পড়ুন : এক ট্রেনে উত্তরবঙ্গ থেকে সোজা পুরী! স্পেশাল ট্রেনের ভাড়া জেনে নিন
প্রায় ৬ ঘণ্টার সফর। প্রতি শনি ও রবিবার চলবে এই পরিষেবা। দার্জিলিং স্টেশন থেকে ছাড়বে সকাল সাড়ে ৮টায়। ঘুম, সোনাদা, টুং হয়ে কার্সিয়ংয়ে পৌঁছবে ১১টায়। তারপর সোয়া ২ ঘন্টার ছুটিতে কার্সিয়ং শহরকে চিনে নেওয়া। আবার সেখান থেকে ছাড়বে ১টা ১৫-তে। পাহাড়ি পাকদণ্ডি পেরিয়ে কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে দার্জিলিং ফিরে আসবে বিকেল ৪টে ৫-এ।
আরও পড়ুন : নিউজ18 বাংলার খবরের জের, গাছ পাচার রুখতে পদক্ষেপ প্রশাসন ও বনদফতরের
নতুন এই রেলপরিষেবায় খুশি পাহাড়ে বেড়াতে আসা পর্যটকেরা। জয়রাইডের বাড়তি ট্রিপের পাশাপাশি এ বার হিমকন্যার সংযোজন তাঁদের কাছে আরও পাওনা। খুশি পর্যটন ব্যবসায়ীরাও। তবে একইসঙ্গে তাঁদের বক্তব্য, আগে থেকে রেল ঘোষণা করলে আরও ভাল হত। আরও বেশি পর্যটকদের কাছে পৌঁছন যেত নয়া পরিষেবা নিয়ে।