আরও পড়ুন: শান্তিপুরে বিশ্বমানের চিত্র প্রদর্শনী
পাহাড়ের পর্যটন শিল্পকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে রাজ্য সরকারের পর্যটন বিভাগ ও জিটিএ-এর পর্যটন এবং সাংস্কৃতিক বিভাগের যৌথ উদ্যোগে কালিম্পং টাউন হলে জমজমাট আয়োজিত হলো উইন্টার ট্যুরিজম অ্যান্ড কালচারাল ফেস্টিভ্যাল। এটাই প্রথম বর্ষ। উদ্যোক্তারা তো বটেই, বিভিন্ন রাজ্য থেকে কালিম্পং টাউন হলে ভিড় জমান স্টেক হোল্ডাররাও। শীতল আবহাওয়ায় পর্যটনের মানচিত্রে কালিম্পংকে তুলে ধরার উদ্দ্যেশে এমন উদ্যোগ বলে জানান জিটিএ’র পর্যটন বিভাগের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর, সোনম ভুটিয়া।
advertisement
প্রজাতন্ত্র দিবসের ছুটি শেষ হতেই কার্যত পাহাড় থেকে নামতে শুরু করেছেন পর্যটকরা। কিছু পর্যটক থাকলেও তাঁদের ডেস্টিনেশন দার্জিলিং। এমনটা নতুন নয়, বছরের পর বছর ধরে চিত্রটা কিন্তু বদলায়নি। শীতে সিকিম এবং দার্জিলিং পাহাড়ে পর্যটকদের পা পড়লেও, ব্রাত্য থেকে যায় কালিম্পং। কালিম্পংয়ের এই ‘দুর্দশা’ ঘোচাতেই উইন্টার ফেস্টিভ্যালের উদ্যোগ জিটিএ’র। উৎসবে কালিম্পং যে একসময় ভুটানের অংশ ছিল, সিল্ক রুটের মধ্যে দিয়ে তিব্বতের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ স্থাপন হয়েছিল এমন নানা ঐতিহাসিক গুরুত্বের কথা তুলে ধরা হয়। রুদেন সাদা লেপচা বলেন, এত ঐতিহাসিক গুরুত্ব থাকার পরেও পর্যটনে দার্জিলিংয়ের মতো কালিম্পংকে তুলে ধরা সম্ভব হয়নি। তবে সকলে মিলে চেষ্টা করলে কালিম্পং’ও এবার মানুষের মনের জায়গা করে নেবে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
সকলে মিলে চেষ্টার আহ্বানে অবশ্য সাড়া দিয়েছেন পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা। অল ইন্ডিয়া বুদ্ধিস্ট ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান রাজেশ সরাফ বলেন, পরিকল্পনামাফিক কালিম্পংয়ের ঐতিহাসিক গুরুত্ব সামনে নিয়ে আসা হবে। ডোমেস্টিক ট্যুর অপারেটার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার দেবাশিস চক্রবর্তীর বক্তব্য, শুধু শহর নয়, ঝালং, বিন্দুর মতো জায়গাগুলিকে রাজ্যের বাইরে তুলে ধরতে হবে। কেননা শীত উপভোগ করতে যাঁরা পাহাড়ে আসেন তাঁদের অধিকাংশই ভিন রাজ্যের। সবমিলিয়ে কালিম্পংকে পর্যটন মানচিত্রে এক নতুন জায়গা করে দিতে আয়োজিত এই উইন্টার ফেস্টিভ্যাল যথেষ্ট হিট।
অনির্বাণ রায়