জেলার ইতিহাস অনুসন্ধানী সুবীর সরকার জানান, “জেলায় একধিক ঐতিহাসিক ঐতিহ্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। তবে জেলার সদর শহরের গুঞ্জবাড়ি এলাকায় থাকা এই মন্দিরের ইতিহাস দীর্ঘ সময়ের পুরোনো। আনুমানিক প্রায় ৩৫০ থেকে ৪০০ বছরের আগে এই মন্দির স্থাপন করা হয়েছিল বলেই জানা যায়। তবে এখানেও একাধিক দ্বিমত রয়েছে ঐতিহাসিকদের মধ্যে। তবে এটি জেলার মধ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ মন্দির এটুকু নিঃসন্দেহে বলা সম্ভব। তবে সেই অনুযায়ী এই মন্দিরকে গুরুত্ব প্রদান করা হয় না। দ্রুত সংস্কার প্রয়োজন মন্দিরের।”
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
তিনি আরও জানান, “এই মন্দিরের চত্বরের মধ্যে একটা ইদারা রয়েছে। যেটি রাজ আমলে খনন করা হয়েছিল। এছাড়া এই মন্দিরের পাশেই একটি রাজ আমলে খনন করা দিঘি রয়েছে। যেই দিঘির নাম ডাঙর আই দিঘি। তবে এই দিঘির ও একেবারেই বেহাল দশা। ইদারা নোঙর, আবর্জনা দিয়ে সম্পূর্ণ বুজিয়ে ফেলা হয়েছে। ফলে দ্রুত প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে এই মন্দির ও মন্দির চত্বরের সংস্কার কাজ করা উচিত। তবে এই মন্দির আবারোও পর্যটকদের জন্য এক অন্যন্য ঠিকানা হয়ে উঠবে। আরও বহু মানুষ এই মন্দিরের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবেন।”
আরও পড়ুন: সাদা-মাটা ঘরকে কম খরচে সাজিয়ে তুলুন! সামান্য বদল করলেই রাজকীয় হবে ঘর
জেলার এই প্রাচীন মন্দির আধ্যাত্মিকতা ও পর্যটনের এক অদ্ভুত মেলবন্ধন। যদিও এই মন্দির অন্যান্য মন্দিরের মতো পর্যটকদের সামনে তুলে ধরা হয়নি। তবে এই মন্দিরের ও জেলার পর্যটন মানচিত্রে আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। ফলে জেলা প্রশাসন ও হেরিটেজ কমিটির উদ্যোগে দ্রুত এই মন্দিরের সমস্যা সমাধান করা হোক। তবে মদন মোহন দেবের মাসির বাড়ি বা ডাঙর আই মন্দিরে আবারও পর্যটকদের আনাগোনা শুরু হবে।
Sarthak Pandit