জোরবাংলোজুড়ে তুষারপাত। বরফের চাঁই হাতে নিয়ে খেলতে নামেন স্থানীয় কচিকাঁচারা। একে অপরকে লক্ষ্য করে বরফের টুকরো ছুঁড়ে খেলতে মগ্ন হয়ে পড়ে ছেলে-মেয়েরা। মাস খানেক আগেই দার্জিলিংয়ে তুষারপাত হয়েছিল। দার্জিলিংয়ের ম্যালেও বরফ নিয়ে খেলতে থাকেন পর্যটকেরা।
আরও পড়ুন- ময়নাগুড়ি ট্রেন দুর্ঘটনার তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য ! পরীক্ষা না করেই চালানো হয়েছিল
advertisement
কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ রয়েছে। পাহাড় এখন অনেকটাই পর্যটক শূণ্য। তবুও যাঁরা বেড়াতে এসেছেন পাহাড়ে, খবর পেয়েই ছুটে যান ঘুম, জোরবাংলোর দিকে।
তুষারপাত হয়েছে টাইগারহিলেও। গোটা টাইগারহিল চত্বর সাদা পুরু চাদরে ঢাকা পড়েছে। যেদিকেই চোখ যায় সবুজ পাহাড় এখন সাদা। হাড়হিম করা ঠাণ্ডায় কাঁপছে পাহাড়। টাইগারহিলের ভিউ পয়েন্টও বরফে ঢাকা। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির ছাদও বরফে মোড়া।
তুষারস্নাত সান্দাকফু, চটকপুর এলাকাও। গত মাসেও সান্দাকফু'তে দিনকয়েক তুষারপাত হয়। যার জেরে বহু পর্যটক আটকে পড়েছিলেন। পরে প্রশাসনিক কর্তা এবং স্থানীয় ল্যাণ্ডরোভার চালক সংগঠনের উদ্যোগে পর্যটকদের মানেভঞ্জনে নামিয়ে আনা হয়। ফের আজ দুপুর থেকেই বরফ পড়ায় শীতে কাবু হয়ে পড়েছে মানেভঞ্জন, রিমবিক, চিত্রে, ফালুট এলাকাও। মানেভঞ্জন থেকে সান্দাকফু যাওয়ার পথের রাস্তাতেও বরফের পুরু চাদর।
আরও পড়ুন- তল্লাশির নামে ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা লুঠ! মালদহে অভিযুক্ত পুলিশ
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস ছিলই, এই সময়ে তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে পাহাড়ে। সেই মতোই অঝোরে ঝরতে থাকে বরফ।
তুষারপাতের জেরে তাপমাত্রাও এক ধাক্কায় অনেকটাই নীচে নেমে এসেছে। আজ দার্জিলিংয়ের রাজভবন সংলগ্ন এলাকায় তাপমাত্রা ছিল ২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেন্ট জোশেফ স্কুল সংলগ্ন এলাকায় ৪ ডিগ্রি। কালিম্পংয়েও হালকা বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। অন্যদিকে তুষারপাত হয়েছে পূর্ব সিকিমের জুলুকেও। পাহাড়ে তুষারপাতের প্রভাবে সমতলের শিলিগুড়িও কনকনে ঠাণ্ডায় কাঁপছে!
