তিজ ভারতীয় হিন্দুদের অন্যতম পুরনো উৎসবের মধ্যে একটি। হরিয়ালি তিজ এবং হরতালিকা তিজ দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে জমজমাটভাবে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। রাজস্থান, বিহার, ঝাড়খণ্ডে বরাবরই উৎসবের মেজাজে মহিলারা তিজ নিয়ে মাতোয়ারা হয়ে ওঠেন। প্রতিবেশী দেশ নেপালে অন্যতম বড় উৎসব। এ রাজ্যেও এই উৎসবটি পালিত হয়ে আসছে বেশ কয়েক বছর ধরে। গোর্খা মহিলারা এই উৎসব সাড়ম্বরে পালন করেন।
advertisement
আরও পড়ুন: গোড়ায় গলদ, ২০১১ থেকে প্রাথমিকের সব চাকরি খতিয়ে দেখবে ইডি! তোলপাড় বাংলা
উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কার্শিয়ং, মিরিক, কালিম্পংয়ে বেশ বড় করেই উৎসব হয়। সমতলের শিলিগুড়িতেও ২০০৩ সাল থেকে জমজমাট হরিতালিকা তিজ উৎসব। তিজ হল শিব ও পার্বতীর অটুট মিলনের প্রতীক। লাল রঙের শাড়ি, নিজস্ব সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে সেজে ওঠেন নেপালি মহিলারা। বিবাহিত মহিলারা শিবদেব ও পার্বতীদেবীর পূজা করে থাকেন স্বামীর দীর্ঘ জীবন এবং মঙ্গল কামনায়। তেমনি অবিবাহিত মহিলারা শিবের মতো স্বামী পেতে তিজ উৎসব করে থাকেন।
আরও পড়ুন: ডুয়ার্সজুড়ে পার্থ-ঘনিষ্ঠ প্রসন্নর একাধিক রিসর্টের খোঁজ! 'মালিকের' গ্রেফতারির খবরে আতঙ্কে কর্মীরা
জানা গিয়েছে, উৎসবের এক মাস আগে থেকেই মহিলারা নিরামিষ খেয়ে থাকেন। আর উৎসবের দিন একেবারে নির্জলা থাকেন। পূজার পর স্বামীর পায়ে জল ঢেলে উপোস কাটান। এদিন রঙিন সাজে সেজে ওঠেন মহিলারা। মঙ্গলবার ছিল হরিতালিকা তিজ উৎসব। শিলিগুড়ির দূর্গামন্দিরে ভিড় জমান নেপালি মহিলারা। নাচে, গানে স্বামীর জন্যে শুভ কামনা করে পূজা করেন দেব, দেবীর। আর অবিবাহিতা মহিলারা "হবু বরের" প্রার্থনায় পূজা করেন। প্রতি বছরই ভাদ্র মাসের শুক্ল পক্ষের তৃতীয় দিনে এই উৎসব হয়। দূর্গামন্দিরে তিজ উৎসব এবারে ১৯তম বর্ষে পদার্পন করল। সকাল থেকেই ছিল সাজ সাজ রব। একে একে মহিলারা যোগ দেন। তারপর শুরু হয় উৎসব। সকলে মিলে নাচ, গানের মাধ্যমে তুলে ধরেন গোর্খা সংস্কৃতি।