নতুন বছরে যাতে ব্যবসা-বাণিজ্য ভালো চলে, সিদ্ধিদাতা গণেশের কাছে ব্যবসায়ীরা তারই প্রার্থনা করেন। কিন্তু ডিজিটাল যুগে সবকিছুই এখন কম্পিউটার নির্ভর। তাই স্বাভাবিক ভাবেই কমে গিয়েছে হিসেব রাখার খাতার ব্যবহারও। আগের থেকে অনেকটাই জৌলুস হারিয়েছে পয়লা বৈশাখের এই হালখাতার উত্সব।
আরও পড়ুনঃ এক মুঠো মুড়ি ভিতর থেকে ঝাঁঝরা করে দিচ্ছে শরীর! কী থেকে ঘটছে? শুনলে মাথা ঘুরে যাবে
advertisement
প্রায় চার দশক ধরে এই হাল খাতা বা জাবেদা খাতা নিয়ে বিহার থেকে জলপাইগুড়ি পাড়ি দেন আবির হোসেন। আসন্ন বাংলার নববর্ষ, এই ডিজিটাল যুগেও ঐতিহ্য রক্ষার্থে ও ব্যবসার মঙ্গল কামনায় কম বেশি প্রায় প্রতিটি ব্যবসায়ীদের মধ্যে রয়েছে হাল খাতার প্রচলন। আর এই সুযোগে যাতে কিছু কেনা বেচা হয় তাই নতুন হাল খাতা নিয়ে সুদূর বিহার থেকে এ বারেও জলপাইগুড়িতে পা রেখেছেন আবির হোসেন।
হাল খাতার ব্যবসায়ী বিগত প্রায় চার দশক ধরে এভাবেই বাংলা নববর্ষের আগে পৌঁছে যান শহরে জাবেদা খাতা প্রস্তুত করতে। শহরের ব্যবসায়ী অরূপ মালাকার এ প্রসঙ্গে বলেন, "ছোটো থেকেই ওনার কাছ থেকে হালখাতা কেনার রেওয়াজ দেখে এসেছি। দামে কম এবং ভাল বাঁধাইয়ের জন্য ওনার এই জিনিসের চাহিদা রয়েছে শহরে।" হালখাতার ব্যবহার ক্রমেই হারাতে বসলেও আবির হোসেনের মতো মানুষেরা নতুন হালখাতা নিয়ে এ দিক-ও দিক ঘুরে বেড়ান খানিক অর্থ লাভের আশায়।
সুরজিৎ দে