জলপাইগুড়ি শহরের বাজার ছেয়ে গিয়েছে ভিন রাজ্যের পেয়ারায়। ভিন রাজ্যের সুস্বাদু পেয়ারার পসরা নিয়ে সারি দিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। এক্কেবারে ডাঁশা পেয়ারা যাকে বলে। দেখতে যেমন সুন্দর, খেতেও তেমন সুস্বাদু। বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, এই পেয়ারাগুলিতে খুব একটা বীজ নেই। খেতেও খুব স্বাদ। বারুইপুরের পেয়ারার নামডাক বেশি ঠিকই। কিন্তু কম যায় না ছত্তিশগড়ের পেয়ারাও।
advertisement
আরও পড়ুনঃ দিঘা-মন্দারমনি সৈকত ঘুরুন মাত্র ১০০ টাকায়! পর্যটকদের জন্য বিরাট সুখবর দিল রাজ্য
শীতের মরশুমে জলপাইগুড়ির বাজার কাপাচ্ছে ছত্তিশগড়ের পেয়ারাই। পেয়ারা কিনতে ক্রেতাদের ভিড় উপচে পড়ছে। পেয়ারার বহু গুণ রয়েছে। প্রতিদিন একটি করে পেয়ারা মিরাকেলের মতো কাজ করে। পেয়ারাকেই রসিকতা করে বলেন ‘গরিবের আপেল’। পেয়ারার গুণাগুণ আপেলের চেয়ে কোনও অংশে কম নয়। পেয়ারায় ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ছাড়াও প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ থাকে, যা মানবদেহের গঠন ও বৃদ্ধিতে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। পেয়ারা পরিণত হলে কাঁচা ও পাকা দু’ভাবেই খাওয়া যায়।
টাটকা অবস্থায় পরিপক্ক পেয়ারা দিয়ে স্যালাড, পুডিংতৈরি করা যায়। বিশিষ্ট ডায়াটেশিয়ান উত্তরা সাহা বলেন, “পেয়ারায় ভিটামিন সি থাকায় শীতকালে ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করে। নিয়মিত পেয়ারা খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। পেয়ারা ক্যানসার প্রতিরোধে কার্যকরী। মেয়েদের পিরিয়ডের সময়ে পেটে ব্যাথা নিরাময়েও পেয়ারার জুড়ি মেলা ভার।” এক কথায় বলাই যায় হাজার রোগের মুশকিল আসান এই পেয়ারা। তাই রোজ আপনার খাদ্য তালিকায় একটি করে পেয়ারা রাখতেই পারেন।
সুরজিৎ দে