উদ্বোধনের পর অনীত থাপা বলেন, “বিভিন্ন দফতরের মাধ্যমে পাহাড়ের মানুষকে স্বনির্ভরতার জন্য সহায়তা করা হবে। আর্থিক হোক বা প্রযুক্তিগত, এখন থেকে জিটিএ'র সহযোগিতা নিতে পারবেন পাহাড়বাসী। এজন্য মানুষকে যাতে একাধিক দফতরে ছোটাছুটি না করতে হয় সেই জন্য এদিন ভানু ভবনে একটি কোঅর্ডিনেটরের অফিস তৈরি করা হয়েছে। সেখানেই জিটিএ'র জনসংযোগ আধিকারিক এসপি শর্মাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।'
advertisement
সমগ্র দেশ জুড়েই বেকারত্ব একটা সমস্যা। পাহাড়ের সমস্যার চিত্রটা আরও ভয়াবহ। কিন্তু এখানে পর্যটন ছাড়া অন্য কোনও শিল্প সেভাবে না থাকায় মানুষের সমস্যা বেশি হয়। অথচ দীর্ঘদিন ধরেই পাহাড়ে তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষিভিত্তিক শিল্প, উদ্যানপালন সহ অন্যান্য বহু প্রকল্পে কর্মসংস্থানের কথা বলা হয়েছে। অথচ কাজ কিছুই হয়নি। পাহাড়ে শিল্প টানতে হিল বিজনেস সামিটের আয়োজন করেছিল জিটিএ। সেই শিল্প সম্মেলনের পরও পাহাড়ের দুটি টি টুরিজ্যম প্রকল্প ছাড়া আর কিছুই হয়নি।
আরও পড়ুনঃ মেসি বনাম রোনাল্ডো ম্যাচের একটি টিকিটের দাম ২৬ কোটি, ভাঙতে চলেছে সব রেকর্ড
এই অবস্থায় পাহাড়ের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা নিয়ে যথেষ্টই চাপে রয়েছে জিটিএ বোর্ড। তাই স্বনির্ভরতার লক্ষে জি টি এর উদ্যোগে "ঘরঘর স্বনির্ভর" প্রকল্প চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে উদ্যানপালন, কৃষি, প্রাণিসম্পদ বিকাশ, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প, পর্যটন , সামাজিক বনসৃজন, স্বনির্ভরতা ও স্বনিযুক্ত সহ বিভিন্ন দফতরের মাধ্যমে মানুষকে ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। শুধু তাই নয়, এখন থেকে জিটিএর এই নয়া প্রকল্পের প্রতিনিধিরা শহরাঞ্চলের বাইরে বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে মানুষের দরজায় দরজায় পৌঁছে স্বনির্ভরতার উদ্যোগ নেবেন।
ANIRBAN ROY