এবারে এই ইস্যুতে নয়া বিল আনতে চলেছে রাজ্য। আজ অথবা আগামিকালই সেই বিল বিধানসভায় আনা হবে বলে বিরোধীদের দাবি। কেন না শুধু পৃথক গোর্খাল্যান্ডই নয়, আলাদা কামতাপুর রাজ্য, বৃহত্তর কোচবিহার রাজ্য এবং অধুনা বিজেপি বিধায়ক, সাংসদদের গলায় আলাদা উত্তরবঙ্গ রাজ্য গড়ার দাবি উঠেছে।
আরও পড়ুন: রাতের অন্ধকারে গায়েব ছাগল, ঝোপের মধ্যে মরা-গরু, চা-বাগানে আতঙ্ক
advertisement
সামনেই লোকসভা ভোট। তার আগে এই ইস্যুতে উত্তপ্ত হতে পারে উত্তরবঙ্গ। বাংলাকে ভাগ করা হবে না, এমনই বিল বিধানসভায় পাস করাতে চায় রাজ্য। তারই প্রতিবাদে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি পাহাড়ের বিরোধীদের। রবিবার অজয় এডওয়ার্ড, বিনয় তামাং সহ জিটিএর ৯ বিরোধী দল সভাসদ বৈঠক করে জানিয়ে দেয়, নয়া বিলের প্রতিবাদে সরব হতে হবেন পাহাড়ের তিন বিধায়ককেও। কেন না জিটিএ-র প্রথম সভাতেই চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার অনীত থাপা ঘোষণা করেছিলেন, আলাদা গোর্খাল্যান্রাডজ্য নিয়ে আলোচনা হবে। ৪৫ জন নির্বাচিত সভাসদই সেই প্রস্তাবে সমর্থন জানিয়েছিলেন। পাহাড়বাসীর স্বার্থেই এক হয়ে আন্দোলনে নামার প্রস্তাব দেন এডওয়ার্ড।
অন্যদিকে একে গুরুত্ব দিতে নারাজ কালিম্পংয়ের বিজিপিএম বিধায়ক রুদেন লেপচা। তিনি পালটা বলেন, এর আগে ১৯৮৬, ২০০৭ এবং ২০১৭-তেও এই প্রস্তাবের কথা উঠেছিল। হয়নি। এবারে রাজ্য যেটা করতে চাইছে তা আদপে বিজেপি বিধায়ক, সাংসদদের আলাদা উত্তরবঙ্গ গড়ার ডাকের বিরুদ্ধে। এর সঙ্গে পাহাড়ের কোনও সম্পর্ক নেই। আর এটা গোর্খা বনাম বাঙালির লড়াই নয়। পাহাড়ে পৃথক প্রশাসনিক ব্যবস্থা রয়েছে। এটা আসলে রাজ্য এবং কেন্দ্রের লড়াই। এই লড়াই তৃণমূল ও বিজেপির। তবে ব্যক্তিগত কারণে কাল বিধানসভায় না থাকলেও প্রস্তাবের পক্ষে বা বিপক্ষে তিনি নেই। যদিও কার্শিয়ংয়ের বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা গোর্খাল্যান্ডের পক্ষেই সওয়াল করে আসছেন। এই পরিস্থিতিতে আগামিকাল শিলিগুড়ি আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷