এদিন বিমল গুরুঙ্গ জানিয়েছেন, "এই নিয়ে দ্বিতীয় বার আমি ভোট দিলাম না। ২০১৭ সালে আমি GTA ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলাম। পাহাড়ের বাইরে থাকায় ২০১৯ সালে আমি ভোট দিতে পারিনি৷ এবার প্রথম থেকেই আমি আমার আপত্তির কথা জানিয়েছিলাম। তবে আমি কাউকে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলছি না। মানুষের ভোট দেওয়া গণতান্ত্রিক অধিকার। তবে পাহাড়ের মানুষ তাদের সংস্কৃতি ও রাজনীতি দুটি বিষয়েই সচেতন। তারা সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন।"
advertisement
আরও পড়ুন: ঘুম থেকে উঠে ঘুম-ভাব কাটে না? শরীরে ভিটামিন ডি কমে যাচ্ছে না তো!
পাহাড়ের সিংমারি বরাবর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু থেকেছে। বিমল গুরুঙ্গ নিজেই নিয়ন্ত্রক হয়ে থেকেছেন৷ যদিও এদিন সকাল থেকেই কার্যত ঘনিষ্ঠ বৃত্ত ছাড়া দেখা গেল না বিমলকে।পাহাড়ে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের দাবিতে আগে থেকেই এই নির্বাচনের বিরোধিতা করছে বিমল গুরুংয়ের দল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। এ দাবিতে অনশনেও বসেছিলেন মোর্চা প্রধান-সহ দলের কর্মী-সমর্থকেরা। জিটিএ নির্বাচনে তাঁরা ভোট দেবেন না বলেও সাফ জানিয়েছেন গুরুঙ্গ-সহ মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি।
আরও পড়ুন: শহরজুড়ে যেন জ্বরের মরসুম, কী করে বুঝবেন করোনা নাকি সাধারণ সর্দি-জ্বর?
রবিবার তিনি বলেন, ‘‘আমি বা বিমল গুরুঙ্গ কেউ ভোট দেব না। আমরা জিটিএ নির্বাচনে বিরুদ্ধে। দলের কর্মী-সমর্থকদের কারা ভোট দেবেন বা দেবেন না, সেটা তাঁদের বিষয়৷ তবে আজ আমরা ভোট দিতে যাব না।’’ মোর্চা নেতৃত্ব ভোট বয়কট করলেও দলের কর্মী-সমর্থকেরা নির্দল প্রার্থী হিসাবে দাঁড়ালে সমর্থন করবে বলে সূত্রের খবর। যদিও প্রকাশ্যে সে কথা স্বীকার করলেন না কেউই।প্রথম বারের মতো এ বারও জিটিএ নির্বাচনে নির্দল প্রার্থীদের ভিড়।
৪৫টি আসন মিলিয়ে মোট ১৮৭ জনই নির্দল প্রার্থী। তার মধ্যে লড়াই মূলত হামরো পার্টি এবং ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার মধ্যে। ৪৫টি আসনের প্রতিটিতেই নিজেদের প্রার্থী দাঁড় করিয়েছে শুধুমাত্র হামরো পার্টি। অন্য দিকে, অনীত থাপার ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা ৩৬টি আসনে প্রার্থী দিলেও বহু আসনে নির্দলদের সমর্থন করছে। তৃণমূলের প্রার্থীদের লড়াই ১০টি আসনে।