এই কাদের সঙ্গে যুক্ত থাকা একজন শ্রমিক লালচাঁদ বর্মন জানান, ‘‘বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে কোচবিহার থেকে ভিন রাজ্যে এই এঁচোড় পাঠানো শুরু হয়েছে। আগে এ বিষয়টি খুব একটা চোখে পড়ত না। তবে ভিন রাজ্যে কোচবিহার জেলার সুস্বাদু এঁচোড়ের চাহিদা থাকার কারণে এই কাজ করে মুনাফা অর্জন করছেন চাষিরা। এছাড়াও মুনাফা পাচ্ছেন এর সঙ্গে যুক্ত থাকার মানুষজনও। গরমের মরশুমেই এই কাজটিই করা হয়ে থাকে। সংগ্রহ করে নিয়ে আসা এঁচোড়গুলিকে ধুয়ে পরিষ্কার করে কাগজে মুড়ে বস্তাবন্দি করে তার পর পাঠানো হয়। এই এঁচোড়গুলোর দাম হয় গাড়ি অনুযায়ী। মূলত পাইকারি দামেই এই এঁচোড় বিক্রি করা হয়।’’
advertisement
এই কাজের সঙ্গে যুক্ত এক গাড়িচালক মোজিবুর রহমান জানান, “দীর্ঘ সময় ধরে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত তিনি। সারা বছর এই কাজটি না থাকলেও বছরের এই গরমের মরশুমে এই কাজটির চাহিদা থাকে প্রচুর পরিমাণে। তাইতো প্রতিদিন অসংখ্য গাড়িতে করে এই কাঁঠাল নিয়ে যাওয়া হয় ভিন্ন রাজ্যে।”
আরও পড়ুন : AC ছাড়াই সুশীতল ঘর! তীব্র গরমেও থাকুন আরামে! ঘরে লাগান এই গাছগুলি
এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত একজন বিক্রেতা প্রফুল্ল বর্মন জানান, “জেলার বিভিন্ন প্রান্তের গ্রামগুলি থেকে টোটোর মাধ্যমে এই এঁচোড়গুলি সংগ্রহ করে নিয়ে আসা হয়। তারপর সেগুলিকে কাগজে মুড়ে বস্তা বন্দি করা হয়। এই কাজটি প্রতিনিয়ত চলতেই থাকে। প্রতিদিন বহু গাড়ি এভাবে পাঠানো হচ্ছে বাইরে।” বর্তমান সময়ে জেলার কৃষক ও বহু মানুষ এই কাজের সঙ্গে যুক্ত থেকে আর্থিকভাবে স্বনির্ভরতার পথ খুঁজে নিচ্ছেন।