‘কটকটি’, ‘পিকু’, ‘পটল’, আর ‘পুতুল’—এই নামগুলো শুনলে অনেকেরই মনে হতে পারে হয়ত কোন ছাত্রছাত্রীর ডাকনাম। কিন্তু এরা আসলে কলেজের আশেপাশে ঘোরাফেরা করা কিছু পথকুকুর। বর্তমানে মানুষ যেখানে নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত, সেখানে ওদের জন্য ভাবার মানুষের সংখ্যা মাত্র গুটি কয়েক। কিন্তু, এই গোপা ম্যাডামের কাছে এরা পরিবারেরই অংশ। সেই পরিবারের খেয়াল রাখতে রোজ টক দই, ভাত, মাংস, বিস্কুট থেকে শুরু করে নানা খাবার নিয়ে আসেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন: শুরু হচ্ছে নতুন প্রকল্প, বিশ্ব উষ্ণায়নের থাবা পড়বে না উত্তরবঙ্গে! বড় পদক্ষেপ জাপানি সংস্থার
গরমে যাতে এদের গা ঠান্ডা থাকে, তাই দই-এর পরিমাণ একটু বেশি থাকেই। কলেজে ঢোকার আগেই তিনি বাটিতে করে খাবার দিয়ে যান ওদের জন্য। অনেকে দেখলেও নীরবে এগিয়ে যান, কিন্তু গোপা রায় জানেন, ভালবাসা দিলে ভালবাসাই ফিরে আসে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
একজন শিক্ষিকার এমন মানবিক উদ্যোগ এখন কলেজ পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে শহরজুড়ে। ছাত্রছাত্রীরাও ধীরে ধীরে এই কাজের অংশ হতে চাইছে। মানুষ আর প্রাণীর সম্পর্ক যে স্নেহের বাঁধনে গাঁথা হতে পারে, গোপা ম্যাডামের কাজ তার এক নিখুঁত উদাহরণ।
সুরজিৎ দে





